14.9 C
London
April 19, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে লেবার এমপিদের ডিজিটাল আইডি চালুর দাবি

যুক্তরাজ্যের তিনটি প্রভাবশালী ব্যাকবেঞ্চ গ্রুপের ৪০ জনের বেশি লেবার এমপি সরকারের মন্ত্রীদের প্রতি ডিজিটাল আইডি চালুর আহ্বান জানিয়েছেন। সাংসদেরা দাবি করেছেন, এই সিস্টেম জনসেবা প্রদান ব্যবস্থার দক্ষতা বাড়াবে এবং অভিবাসীদের অবৈধ নিয়োগ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

রদার ভ্যালির এমপি জেক রিচার্ডসের উদ্যোগে ডিজিটাল আইডি চালুর দাবিতে এই খোলা চিঠিটি তৈরি করা হয়েছে। এতে লেবার গ্রোথ গ্রুপের কো-চেয়ার ক্রিস কার্টিস ও লোলা ম্যাকএভয় এবং লেবার রেড ওয়াল গ্রুপের সমন্বয়কারী জো হোয়াইট সই করেছেন। এছাড়াও ব্লু লেবার গ্রুপের সদস্য, সামাজিকভাবে রক্ষণশীল এমপি ড্যান কার্ডেন এবং জনাথন ব্রাশও এতে স্বাক্ষর করেছেন।

চিঠিটি হোম অফিস, ক্যাবিনেট অফিস এবং সায়েন্স, ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। ২০২৪ সালের নির্বাচিত কয়েকজন বিশিষ্ট এমপি – পলি বিলিংটন, জেস অ্যাসাটো, মাইক ট্যাপ, জো পাওয়েল এবং এমিলি ডার্লিংটন – এতে সই করেছেন।

রিচার্ডস সংসদে বারবার রিফর্ম ইউকে-র হুমকি মোকাবেলা এবং অবৈধ অভিবাসন দমন করতে লেবার পার্টিকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, টনি ব্লেয়ারের সময় প্রস্তাবিত আইডি কার্ড ধারণাটি পুনরুজ্জীবিত করা উচিত। তবে এখন ডিজিটাল আইডিই আধুনিক অর্থনীতির জন্য সঠিক পথ। এতে নাগরিকরা আরও সহজে রাষ্ট্রের সাথে সংযুক্ত হতে পারবে—যেমন জিপি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া, পাসপোর্ট নবায়ন বা কর পরিশোধ।

চিঠিতে বলা হয়েছে, “২১ শতকে এসে আমাদের এনএইচএস যদি এখনো নবজাতক শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য একটি লাল রঙের বইয়ের ওপর নির্ভর করে, তাহলে তা হাস্যকর।”

এতে আরও বলা হয়েছে, এই উদ্যোগ রাষ্ট্রকে আরও দক্ষ করে তুলবে, অবৈধ অভিবাসীদের চাকুরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করবে, পিছিয়ে পড়া সরকারি খাতের উৎপাদনশীলতা বাড়াবে এবং স্বাস্থ্যসেবা, কল্যাণ ও সরকারি সেবায় আরও দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।

যদিও গোপনীয়তা রক্ষা নিয়ে উদ্বেগ থাকতেই পারে, চিঠিতে দাবি করা হয়েছে জনমত ডিজিটাল আইডির পক্ষে রয়েছে – যেমনটি ইতিমধ্যেই এস্তোনিয়া, ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশে ব্যবহার হচ্ছে।

ডিজিটাল আইডির বিষয়ে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্ব দেবেন এমপি রিচার্ডস এবং এমপি ম্যাকএভয়।

ক্যাম্পেইনের সূচনায় রিচার্ডস বলেন, “আমরা জানি, সমন্বিত একটি ডিজিটাল আইডি সরকারী খাতের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে। উদ্ভাবনের পথ খুলে দিতে পারে এবং অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশকারী ব্যক্তিদের কাজ বা সেবার সুযোগ সীমিত করতে পারে।

এটি এমন একটি পরিবর্তন, যা যুক্তিসঙ্গত এবং সাধারণ মানুষ যেটির জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু সরকারকে দ্রুত এগিয়ে আসতে হবে যদি আমরা এটি বাস্তবে প্রয়োগ করতে চাই।

ডিজিটাল আইডি চালু করাই প্রথম ধাপ—যেখানে আমরা অধিকার ও দায়িত্বের ওপর ভিত্তি করে আইন-শৃঙ্খলা, জনসেবা, অভিবাসন ও কল্যাণ নিয়ে কাজ করতে পারব। শুধু নীতিগত দিক থেকেই নয়, বরং এর পেছনে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক অবস্থানও গড়ে তোলা সম্ভব।”

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
০৮ এপ্রিল ২০২৫

আরো পড়ুন

এবার ব্রিটিশ রাজনীতিতে নজর মাস্কের, বিনিয়োগ করবেন ১০ কোটি ডলার

অনিবন্ধিত অভিবাসী সন্দেহে হোম অফিস কর্মী গ্রেফতার

ভারতে যেতে ভয় পাচ্ছেন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের কেবিন ক্রুরা