অভিবাসন সীমিত করতে ইংলিশ চ্যানেলে সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশন পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছেন ব্রিটিশ এমপিরা। একজন এমপি এই পরিকল্পনাকে ‘মশা মারতে কামান দাগা’ বলে অভিহিত করেন।
ব্যাকবেঞ্চাররা বলেছেন, এটি মানব পাচারকারীদের উৎসাহিত করতে পারে এবং সীমান্তবাহিনীকে ‘ট্যাক্সি সার্ভিস’ হিসাবেও ব্যবহার করতে সহায়তা করতে পারে।
এ মাসের শেষে চ্যানেলে অপারেশনের কমান্ড গ্রহণ করবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
হাউস অফ কমন্সের বক্তৃতায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেমস হেপ্পি বলেছেন, নৌবাহিনীর জাহাজগুলি চ্যানেলে ছোট নৌকাগুলিকে ঠেকাবে না, বা সোনিক অস্ত্র (এমন ডিভাইস যা উচ্চ শব্দে লোকেদের নিবৃত্ত করে) ব্যবহার করবে না।
তবে তিনি বর্ডার ফোর্স – বেসামরিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অস্ত্র ব্যবহার করার কথা অস্বীকার করেননি।
কিন্তু এর ফলে কিছু ব্যাকবেঞ্চাররা রয়্যাল নেভি ঠিক কী করবে তা জিজ্ঞাসা করেন। তারা বলেন, নেভির উপস্থিতি উদ্দেশ্যমূলক প্রতিরোধের পরিবর্তে এটিকে আরো উৎসাহিত করবে।
রক্ষণশীল প্রাক্তন মন্ত্রী স্যার এডওয়ার্ড লেই জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, ‘বর্ডার ফোর্সকে আরও দক্ষ ট্যাক্সি পরিষেবা হতে সাহায্য করার জন্য একজন রয়্যাল নেভাল অ্যাডমিরাল নিয়োগ করার’ বিষয়টি কতোটা যৌক্তিক?
তিনি বলেন, লোকেরা অনুভব করবে যে তাদের তুলে নেওয়া হবে এবং ‘নিরাপদভাবে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হবে’। এটিকে ‘বিব্রতকর’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
মি. হেপ্পি এতোসব প্রশ্নের বিস্তারিত জবাব দিতে পারেননি। তবে তিনি বলেন, নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থাকবে ‘কমান্ড এবং কন্ট্রোল দৃষ্টিকোণ থেকে’।
যদিও এ উত্তর এমপিদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি।
১৯ জানুয়ারি ২০২২
এনএইচ