অভিবাসীদের তাঁবুতে রাখা বন্ধ করতে ব্রিটেনের সরকার সম্প্রতি যে আইনের প্রস্তাব করেছে, তা নিয়ে বেশ কিছুদিন হতেই সমালোচনা হচ্ছিল বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যাত৷ তবে সমালোচকদের সমালোচনার জবাব দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার৷
দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী অলিভার ডাউডেন সম্প্রচার সংস্থা বিবিসিকে বলেছেন, সরকার ‘তাঁবুর শহর‘ প্রতিরোধের লক্ষ্যে আইনের দিকে নজর দিচ্ছে। আমাদের এই ধরনের তাঁবুর শহর ও এমন ধারণাগুলোকে থিতু হবার অনুমতি দেয়া উচিত নয়৷ তাই আমরা এর সমাধান করতে প্রয়োজনীয় আইনের দিকে নজর দিচ্ছি।
খবরে জানা যায়, জ্বালানি সংকটের কারণে কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির ফলে বাড়ির মর্টগেজ ও ভাড়া বাড়ায় অনেকেই বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় এসে থাকছেন৷ তাদের ও নতুন শরণার্থীদের জন্য তাঁবুর ব্যবস্থা করছিল এনজিওগুলো৷ তা বন্ধ করতেই সরকার এমন আইন করার প্রস্তাব করে৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান এই তাঁবুগুলোকে ‘উপদ্রব’ ও ‘দুর্দশা’ বলে উল্লেখ করেন এবং এরপর বিরোধী দল ও এনজিওগুলোর তোপের মুখে পড়েন তিনি৷
২০২৪ সালের মধ্যে রাস্তায় এমন যত্রতত্র ঘুমানো বন্ধ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার৷ আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো একে বাস্তববাদী লক্ষ্য বলছেন না৷
গৃহহীনতা নিয়ে জুলাই মাসে প্রকাশিত হেরিওট-ওয়াট ইউনিভার্সিটির একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২২ সালের নভেম্বরে ইংল্যান্ডে তিন হাজারের বেশি মানুষ রাস্তায় ঘুমান৷ আগের বছরের তুলনায় তা এক চতুর্থাংশ বেশি৷ ২০২১ ও ২০২২ সালের মধ্যে দুই লাখ ৯০ হাজার পরিবার সরকারের কাছে গৃহহীনতার আওতায় সাহায্যের আবেদন করে৷
এনজিওগুলো বলছে, একটা বিষয় পরিষ্কার করা প্রয়োজন যে কেউ ইচ্ছে করে রাস্তায় এসে থাকছেন না বা থাকতে চাইছেন না৷ সরকারের ব্যর্থ নীতির কারণে এই পরিস্থিতি৷
এম.কে
০৮ নভেম্বর ২০২৩