রাশিয়া হামলা শুরু করার আগ পর্যন্ত মূলত দেশে তৈরি অস্ত্রের ওপরই নির্ভরশীল ছিল ইউক্রেন। দেশীয় অস্ত্র ছাড়া সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলের কিছু পুরোনো অস্ত্রও ছিল তাদের। তবে যুদ্ধ শুরুর পর বাধ্য হয়েই অস্ত্র সংগ্রহে তৎপর হতে হয় ইউক্রেনকে। তাই ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করা দেশের তালিকায় তারা এখন ১৪ নম্বরে।
ইউক্রেন অবশ্য নতুন এবং অত্যাধুনিক অস্ত্র পায়নি। অন্য দেশের অব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্রই সাহায্য হিসেবে পেয়েছে তারা। এমনকি পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে বহুবার আধুনিক যুদ্ধবিমান চেয়েও পাননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
ইউক্রেন যুদ্ধ চলার সময় যুদ্ধ বিমানসহ অনেক অত্যাধুনিক অস্ত্র কিনেছে কুয়েত, সৌদি আরব, কাতার এবং জাপান। সব অস্ত্রই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কিনেছে তারা।
আগের মতো এখনো বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাঁচ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, চীন এবং জার্মানি। গত চার বছরে সার্বিকভাবে ১৪ শতাংশ রপ্তানি বাড়িয়ে সবচেয়ে উপরের জায়গাটি আরো পাকা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ সময়ে ফ্রান্সের রপ্তানি বৃদ্ধির মাত্রা সত্যিই বিস্ময়কর। গত চার বছরে তাদের অস্ত্ররপ্তানি বেড়েছে শতকরা ৪৪ ভাগ । অন্যদিকে চীনের অস্ত্ররপ্তানি শতকরা ২৩ ভাগ কমেছে। জার্মানিরও রপ্তানি এ সময় কমেছে। একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগের চার বছরের তুলনায় জার্মানির রপ্তানি শতকরা ৩৫ ভাগ কমেছে।