8.1 C
London
November 18, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

আই ব্যবহার করে বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের যুদ্ধে যোগ দিচ্ছে যুক্তরাজ্যের এক স্টার্টআপ কোম্পানি

গোটা বিশ্বে মাত্রা ছাড়ানো আবর্জনা পুনর্ব্যবহারের লক্ষ্যে নতুন এক এআই ব্যবস্থা তৈরি করেছে যুক্তরাজ্যের এক স্টার্টআপ কোম্পানি।

বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালেই কেবল প্রায় সোয়া দুইশ কোটি টন ‘সলিড ওয়েস্ট’ উৎপাদিত হয়েছে। আর, ২০৫০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা ৭৩ শতাংশ বেড়ে গিয়ে পৌঁছাবে তিনশ ৩৮ কোটি টনে।

বর্জ্য ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় সমস্যা প্লাস্টিক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া ও ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির গবেষণায় উঠে এসেছে, ৫০-এর দশক থেকে বড় পরিসরে উৎপাদন শুরু হওয়া এই প্লাস্টিক থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আটশ ৩০ কোটি টনেরও বেশি বর্জ্য উৎপাদিত হয়েছে।

এইসব পরিসংখ্যান যুক্তরাজ্যের স্টার্টআপ কোম্পানি ‘গ্রেপ্যারট’-এর মিকেলা ড্রাকম্যানকে অবাক করে নাই বলে জানান তিনি। কারণ বর্জ্যের পেছনেই অনেক সময় কাটিয়েছেন তিনি। তার কোম্পানি এমন এক এআই সিস্টেম বানিয়েছে, যা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও এর পুনর্ব্যবহার সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় বিশ্লেষণ করতে পারে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম।

ইউরোপের প্রায় ৫০টি ‘ওয়েস্ট রিসাইক্লিং’ সাইটের কনভেয়র বেল্টের ওপর ক্যামেরা বসিয়ে ‘রিয়েলটাইমে’ এর মধ্য দিয়ে কী কী যায়, তা এআই সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে গ্রেপ্যারট।

গত এক বছরে অনেকদূর এগিয়েছে এআই প্রযুক্তি। এর ছবি বিশ্লেষণের সক্ষমতাও বেশ ভালো। তবে ড্রাকম্যান বলেন, আবর্জনা শনাক্ত করার জন্য একটি সিস্টেমকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজটি কঠিন ছিল।

ড্রাকম্যান জানান, “কোকের বোতলের মতো কোনো পণ্য একবার ‘বিন’-এ গেলে তা চূর্ণবিচূর্ণ হবে, এর গায়ে নানা নোংরা জিনিস লাগবে। এই অবস্থায় এই জিনিস এআইকে চেনানো একটি সীমাহীন জটিল বিষয়।”

গ্রেপ্যারটের সিস্টেম সব মিলিয়ে এখন প্রতি বছর তিন হাজার দুইশ কোটি বর্জ্য আইটেম ট্র্যাক করতে পারে। এর পাশাপাশি, বর্জ্যের এক বিশাল ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করেছে কোম্পানিটি। এই তথ্য ব্যবহার করতে পারেন বর্জ্য নিয়ে কাজ করা কর্মীরা বলে জানা যায়।

এম.কে
০৪ জুলাই ২০২৩

আরো পড়ুন

বাংলাদেশ-ভারত ফ্লাইট চলাচল শুরু হচ্ছে ৫ সেপ্টেম্বর

অনলাইন ডেস্ক

রমজানে রাতে করোনার টিকা কার্যক্রম চালানোর পরামর্শ

নিউজ ডেস্ক

ভারত-আফ্রিকায় কোভিশিল্ডের নকল ডোজ উদ্ধার