TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগ ও প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিনের পাথর সাম্রাজ্য

সাদা পাথরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটে নাম উঠেছে সাহাব উদ্দিনের। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৪ সালের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে গিয়ে তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি চক্রের সঙ্গে আঁতাত করেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে হারিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি শামীম আহমদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, আর এর পেছনে সাহাব উদ্দিনের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

নির্বাচন শেষে ক্ষমতাসীনদের ছত্রচ্ছায়ায় সাহাব উদ্দিন একচেটিয়া পাথর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেন। এতে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হন। সিলেট নগরীর খাসদবিরে পাঁচতলা ভবন, ভোলাগঞ্জে চারতলা বাড়ি, সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে পেট্রোল পাম্প ও স্টোন ক্রাশার মিল স্থাপন ছাড়াও তিনি সিলেট নগরীর আম্বরখানার ইস্টার্ন প্লাজা ও শাহপরান এলাকায় হিলভিউ টাওয়ারের পাশে শত শত শতক জায়গার মালিক হন। এছাড়া কোম্পানীগঞ্জে এম সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজের পাশেও তার বিশাল জায়গা রয়েছে।

তবে ২০১৪ সালে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় তিনি সম্পদের যে তথ্য দেন, তার সঙ্গে বর্তমান সম্পদের পার্থক্য বিস্ময়কর। সেখানে তিনি জানান, সেবা স্টোন ক্রাশার, সেবা ফিলিং স্টেশন ও সেবা এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড নামে তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। বার্ষিক আয় দেখান মাত্র দুই লাখ টাকা। ব্যাংকে তার জমা টাকার অঙ্ক ছিল ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা, একটি দালানঘরের মূল্য দেখানো হয়েছিল ১৫ লাখ টাকা। কৃষি ও অকৃষি জমি মিলিয়ে মোট ২২ একর জমির মূল্যও দেখানো হয় মাত্র ১৫ লাখ টাকা।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে নতুন করে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ওঠে। বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলেও স্থানীয় জেলা নেতারা নীরব থাকেন। পরে আইনজীবীদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে আসে, সাহাব উদ্দিন সরকারি খাস জমি দখল করে শত শত বিঘায় পাথরের মজুত ক্ষেত্র গড়ে তোলেন। প্রতি বিঘা জমি এক থেকে দেড় লাখ টাকায় ভাড়া দিয়ে তিনি মাসে কোটি টাকা আয় করতেন। অভিযোগ রয়েছে, এ আয়ের বড় একটি অংশ যেত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে।

এছাড়া ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতির পদও তিনি বাগিয়ে নেন তৎকালীন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদের ডিও লেটারের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে শুধু ব্যবসায়িক আধিপত্য নয়, রাজনৈতিক প্রভাবও নিশ্চিত করেন সাহাব উদ্দিন।

সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া

এম.কে
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আরো পড়ুন

সালমানকে পাত্তা দিতেন না হাসিনা, রাখতেন না রুদ্ধদ্বার বৈঠকে’

সিলেট আইনজীবী সমিতি নির্বাচন, আওয়ামীপন্থিদের বিজয়ে বিএনপির শোকজ

বায়তুল মোকাররম মসজিদের সৌন্দর্য বর্ধনে ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ