
এটা নরক! আমাদের সঙ্গে প্রতিদিন পশুর মতো আচরণ করা হয় এবং মারধর করা হয়।
দ্য টেলিগ্রাফকে দেওয়া বক্তব্যে পরিস্থির কথা এভাবেই বর্ণনা করলেন সৌদি আরবের একটি কোভিড নিরাময় কেন্দ্রের আশ্রয় নেওয়া এক আফ্রিকান অভিবাসী। কেন্দ্রের ভেতর দেখা যায়, অভিবাসীদের যেন সেখানে মৃত্যুর জন্য ফেলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
কেন্দ্রের একজনের অভিযোগ, কেন্দ্রে মরদেহগুলো এমনভাবে ফেলে দেয়া হয় যেন সেগুলো আবর্জনা। বেশ কয়েকজন আবার তাদের পিঠে দাগ দেখিয়ে দাবি করেছেন যে তাদের মারধর করেছেন প্রহরীরা
রোববার (৩০ আগস্ট) দ্য টেলিগ্রাফের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়।
জানা গেছে, তাদের বেঁচে থাকার মতো পর্যাপ্ত খাবার অথবা পানি দেওয়া হচ্ছে না। একজন বলেছেন, আমি যদি এখান থেকে পালাতে না পারি তাহলে আত্মহত্যা করব।
অভিবাসীদের বেশিরভাগই বলেছিলেন যে এই নিরাময় কেন্দ্রে আনার আগে তাদের সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরের বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছিল। অন্যরা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন ও আফ্রিকান শরণার্থী।
গত মার্চে করোনা মহামারী শুরু হলে সৌদি সরকার আশঙ্কা করে, রাজধানী রিয়াদে যে অভিবাসীরা কাজের জন্য অবস্থান করছেন তাদের মাধ্যমে দ্রুত ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। প্রায় ৩ হাজার ইথিওপিয়ানকে এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে ১০ তারিখের ভেতরে সেদেশে ফিরিয়ে দেয়া হয় এবং জাতিসংঘ জানায়, আরও ২ লাখ লোককে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক চাপের কারণে তা স্থগিত করতে হয়েছে রিয়াদকে, এমনটাই অভিমত বিশেষজ্ঞদের।
তেল সমৃদ্ধ সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরে আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন করে আসছে। তাদের অধিকাংশই স্বল্প বেতনে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২০
এনএইচটি