যুক্তরাজ্য সরকার দীর্ঘদিন হতে আবাসন সংকটে ভুগছে। আবাসন সংকট দূর করতে নতুন প্রকল্প হাতে নিতে হবে সরকারের যার জন্য সরকারের উপর চাপও পরিলক্ষিত হতে দেখা যায়। আবাসন সংকট মোকাবেলা করতে গিয়ে সরকার নতুন সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন হতে জানা যায়।
ইংল্যান্ডে গ্রিন বেল্টের বিশাল বিস্তৃতি অঞ্চল সরকারী আবাসন লক্ষ্য পূরণে ব্যবহার করা হতে পারে। পর্যাপ্ত ব্রাউনফিল্ড সাইটের অভাবের কারণে সবুজাভ বনভূমি বা গাছপালা কাটার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিবেশ নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ইতিমধ্যে সরকারের মন্ত্রীদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তারা নিন্দা জানিয়ে বলে, মন্ত্রীরা সবুজ বেল্ট রক্ষার বিষয়ে পূর্বে বিভ্রান্তিকর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখন কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে মন্ত্রীরা বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছেন।
লন্ডন গ্রিন বেল্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রিচার্ড নক্স-জনস্টন বলেন, ” লেবার সরকারের মন্ত্রীরা তাদের পরিকল্পনা চিত্রায়নে বিভ্রান্তিকর ছিলেন। কিন্তু লেবার দলের সাংসদরা দেশের বেশিরভাগ গ্রিন বেল্ট নির্বাচনী ক্ষেত্রের প্রতিনিধিত্ব করেন। ”
সিপিআরই গ্রামাঞ্চলের দাতব্য প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা নীতি ব্যবস্থাপক লিজি তিনশ উডওয়ার্ড বলেন, নতুন ঘর নির্মাণে আইনী চ্যালেঞ্জের ঝুঁকি রয়েছে যা গৃহনির্মাণকে ধীর করতে পারে।
হাউজিং, সম্প্রদায় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের (এমএইচসিএলজি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় কাউন্সিলগুলি বাধ্য না হলে কখনও সবুজ বেল্টের জমিকে স্থাপনা নির্মাণে ব্যবহার করতে চাইবে না।
লিবারেল ডেমোক্র্যাটসের পরিবেশের মুখপাত্র টিম ফারন বলেন, “আমাদের আরও বেশি ঘর তৈরি করা দরকার তবে আবাসন নীতি পর্যালোচনা করাও জরুরি। তাছাড়া গ্রিন জোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।”
এমএইচসিএলজির একজন মুখপাত্র বলেছেন,
“ আমাদের পরিবর্তনগুলি এই শতাব্দীর জন্য খুবই সংবেদনশীল। কাউন্সিল জানে তারা উন্নয়নের জন্য কোন জায়গাকে বেছে নেয়া উচিত। আমরা সকলের প্রতিক্রিয়াকেই বিবেচনায় নিবো।”
উল্লেখ্য যে, নতুন জাতীয় পরিকল্পনা নীতি ফ্রেমওয়ার্ক (এনপিপিএফ) -এর সাশ্রয়ী মূল্যের বাড়ির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে উদ্বেগ পরিলক্ষিত হয়েছে। পূর্ববর্তী শর্তাবলী অনুযায়ী কমপক্ষে ১০% নতুন বাড়ি সাশ্রয়ী মূল্যের হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪