8.9 C
London
November 17, 2024
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

আবাসন সংকট, বিদেশি শিক্ষার্থী কমানোর কথা ভাবছে কানাডা

কারণ বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমানোর কথা ভাবছে কানাডা। মূলত তীব্র আবাসন সংকটের কারণে এই চিন্তা করছে উত্তর আমেরিকার এই দেশটি।

রোববার ১৪ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডায় বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমানোর কথা ভাবছে বলে দেশটির অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার জানিয়েছেন। মূলত নাগরিকদের আবাসন ক্রয়ক্ষমতার সংকটের জন্য কানাডার সরকার সম্প্রতি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।

রয়টার্স বলছে, কানাডা তার অর্থনীতিকে সামনে এগিয়ে নিতে ও বয়স্ক জনসংখ্যাকে সমর্থন করার জন্য অভিবাসনের ওপর নির্ভর করে থাকে এবং প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বার্ষিক অভিবাসন বাড়াচ্ছেন। তবে আবাসন সংকটের জন্য দেশটিতে অভিবাসী এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বৃদ্ধিকে দায়ী করা হয়েছে। কারণ মুদ্রাস্ফীতির কারণে উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে বাড়ি নির্মাণ অনেকটাই ধীর হয়ে গেলেও বাড়ির চাহিদা সমান ভাবে বেড়েই চলেছে।

স্থানীয় সিটিভি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার বলেন, ক্ষমতাসীন লিবারেল সরকার এই বছরের প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সীমাবদ্ধ করে দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে।

কানাডায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি বিরক্তিকর। এটি এমন একটি সিস্টেম যা সত্যিই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।’

অবশ্য কানাডা সরকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ঠিক কতটা কমানোর কথা বিবেচনা করছে তা তিনি বলেননি। এছাড়া মিলারের মুখপাত্রের সাথে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা যায়নি বলেও জানিয়েছে রয়টার্স।

কানাডার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে সক্রিয় ভিসাসহ ৮ লাখেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী কানাডায় অবস্থান করছিলেন। ২০১২ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭৫ হাজার।

রয়টার্স বলছে, মিলারের এই সাক্ষাৎকারটি রোববার প্রচারিত হবে। মূলত কানাডা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় একটি গন্তব্য। কারণ পড়াশোনার পাশাপাশি সেখানে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কাজ করা তুলনামূলকভাবে সহজ।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ক্ষমতাসীন লিবারেল সরকার গত বছরের আগস্টে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসার সংখ্যা সীমাবদ্ধ করার কথা প্রথম জানিয়েছিল। কিন্তু সেসময় কানাডার আবাসনমন্ত্রী শন ফ্রেজার বলেছিলেন, সরকার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে কিনা সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।

মিলার বলেছেন, তিনি প্রাদেশিক অভিবাসন মন্ত্রীদের সাথে এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনা করেছেন।

উল্লেখ্য, ট্রুডোর লিবারেল পার্টি আট বছরেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকার পরে তাদের জনপ্রিয়তা বেশ হ্রাস পেয়েছে। জরিপে পিয়েরে পোইলিভরের নেতৃত্বে বিরোধী রক্ষণশীলরা এগিয়ে রয়েছেন।

এছাড়া আবাসন সমস্যা সঠিকভাবে পরিচালনা না করার জন্য সরকারের সমালোচনাও করে থাকে বিরোধীরা।

সূত্রঃ রয়টার্স

এম.কে
১৪ জানুয়ারি ২০২৪

আরো পড়ুন

গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে এক শিশুর মৃত্যু: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

সীমান্তে ৩ ইসরায়েলি সেনা, ১ মিশরীয় নিরাপত্তা রক্ষী নিহত

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কারণেই কি ঘর পুড়ল প্রধানমন্ত্রীর