TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

আরো ৫ হাজার মানুষ যদি মারা লাগে সরকার চিন্তা করবে না -পবিপ্রবি রেজিস্ট্রার সন্তোষ কুমার বসু

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিতর্কিত মন্তব্যে তোপের মুখে পড়েছেন রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু। একইসাথে তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচরণ ও অসৌজন্যমূলক শব্দ চয়নের অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দিকে তেড়ে যাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত কয়েকটি অডিও ক্লিপ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পেজে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ব্যপক সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে নির্দেশনা দিতে মঙ্গলবার রাতে এম. কেরামত আলী হলে যান অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার খুব সহজে ক্ষমতা ছাড়বে না, গদি ছাড়বে না, যদি আরো ৫ হাজার মানুষ যদি মারা লাগে সরকার চিন্তা করবে না।

তিনি শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে কঠোর নির্দেশনা দিলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে নিজেদের আর্থিক সমস্যা ও বিভিন্ন সংকটের কথা জানান। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের দিকে তেড়ে যান বলে অভিযোগ উঠেছে । এ সময় তিনি তাদের প্রতি ‘এই মিয়া এই শব্দ উচ্চারণ করেন বলে অভিযোগ উঠে। পাশাপাশি তিনি শিক্ষার্থীদের কথাকে ‘খোঁড়া যুক্তি আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপকের এমন অঙ্গভঙ্গি ও শব্দচয়নে হতাশ শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু বলেন, একটি গনতান্ত্রিক সরকার টিকে থাকার জন্য অনেক কিছু করে, দেখা যায় সেখানে ঝামেলা হলে অনেক মানুষ মারা যায় তারপরও টিকে থাকার চেষ্টা করে। দরকার হলে সরকার ৫ হাজার মানুষকেও মারে। শিক্ষার্থীদের মোটিভেশান করতে এমন কথা বলেন তিনি এমনটাই দাবি করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, ‘প্রক্টর কি বলেছেন সেটা আমি অবগত নই, তবে তিনি ছাত্রদের দিকে তেড়ে আসা ও এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারেন না। ছাত্রদেরকে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে বলতে হবে। এ বিষয়ে আমি প্রক্টরের সাথে কথা বলবো।

এম.কে
০২ আগস্ট ২০২৪

আরো পড়ুন

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম

সত্যিই বিয়ে করেছেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, পাত্রী কে?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শপথবাক্য পরিবর্তন, পুরোনোটি পাঠের নির্দেশ