ইউরোপীয় অন্যান্য দেশগুলোর মতো নেদারল্যান্ডসও আশ্রয়প্রার্থীদের রাখার জন্য স্থান সংকটে ভুগছে৷ পরিস্থিতি সামলাতে আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা না হওয়াদের প্রমোদতরী হিসেবে ব্যবহৃত জাহাজে রাখার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ এজন্য আমস্টারডাম শহর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য এ নিয়ে দুইটি শহরে প্রমোদতরীর ব্যবস্থা করল ডাচ সরকার৷
আমস্টারডাম সিটি কাউন্সিলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ওয়েস্টেলিক হাফেনগেবিড শিল্পাঞ্চলের কাছে শহরের পর্যটকদের আনাগোনার বাইরে জাহাজটি নোঙর করা থাকবে৷ ১ অক্টোবর থেকে সেটি ছয় মাসের জন্য চালু থাকবে৷ প্রাথমিকভাবে সেখানে এক হাজার আশ্রয়প্রার্থীকে জায়গা দেয়ার পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের৷ তবে পরবর্তীতে তা দেড় হাজারে উন্নীত হতে পারে৷
আমস্টারডামের সিটি কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থায়নে এই পরিকল্পনা ‘টের আপেলে উদ্বেগজনক মানবিক সংকট সমাধানে সহায়তা করবে’৷ শরণার্থীদের রাখার জন্য আশ্রয়কেন্দ্রের জায়গা খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট একজন কাউন্সিলর৷
নেদারল্যান্ডসের আশ্রয়প্রার্থী দেশটিতে শরণার্থী মর্যাদা পেলেও তাদের অনেকেই থাকার মতো বাড়ি খুঁজে পান না৷ যে কারণে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে থাকেন, যেগুলো মূলত আশ্রয় আবেদনের ফলাফলের অপেক্ষারতদের সাময়িক অবস্থানের জন্য তৈরি৷
ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর ৬০ হাজারেরও বেশি ইউক্রেনীয় নাগরিক নেদারল্যান্ডসে এসেছেন৷ সাম্প্রতিক সময়ে পরিবারসহ শত শত আশ্রয়প্রার্থী উত্তর-পূর্বে অবস্থিত টের অ্যাপেল আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে তাঁবুতে বা মাটিতে ঘুমাতে বাধ্য হয়েছেন৷ সেসব ছবি ডাচ গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়৷
এছাড়া, গোটা নেদারল্যান্ডসের আশ্রয় ব্যবস্থাতে এক ধরনের অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে৷ আশ্রয় আবেদনের প্রক্রিয়ায় ধীর গতির কারণে, অল্প সংখ্যক মানুষ সুরক্ষা পেতে সক্ষম হচ্ছেন৷ এই কারণেও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে৷ যাচাইয়ে সময় লাগায় আগের আবেদনকারীরা দীর্ঘদিন ধরে সেগুলোতে অবস্থান করছেন৷ যার ফলে নতুন আগতদের এসব আশ্রয়কেন্দ্রে স্থান দেয়া সম্ভব হচ্ছে না৷
১ আগস্ট ২০২২
সূত্র: ইনফো মাইগ্রেন্টস