দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ৩০ লাখ টন। দেশীয় ফলনের বাইরে ৩০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করত ভারত। তবে বন্যাসহ নানা কারণে চাহিদা অনুযায়ী ভারত থেকে আসছে না পর্যাপ্ত পেঁয়াজ। বিপরীতে পেঁয়াজের রফতানিমূল্য বাড়িয়ে দেয়া ও পর্যাপ্ত পেঁয়াজ না পাঠানোয় দাম বৃদ্ধি পায় দেশের বাজারেও। ফলে পেঁয়াজের লাগাম টানতে বিকল্প দেশ থেকে আমদানির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় অস্থির হয়ে উঠে দেশের বাজারও। খুচরায় পেঁয়াজের দাম ওঠে ১৪০ টাকায়। এই অবস্থায় বিকল্প উৎস পাকিস্তান, মিশর, চীন ও থাইল্যান্ড থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
ভারত পেঁয়াজের রফতানিমূল্য বাড়িয়ে দেয়ায় বিকল্প হিসেবে পাকিস্তান, মিশর, চীন ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানি বেড়েছে চট্টগ্রামে। এতে অস্থির পেঁয়াজের বাজারে এখন কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। কেজিতে দাম কমেছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বিকল্প বাজার তৈরি হওয়ায় স্বস্তিতে ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা।
এই চারদেশ থেকে জুলাই ও আগস্ট মাসে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন। ভারত ও মিয়ানমার থেকে স্থলবন্দর দিয়েও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এছাড়া ব্যবসায়ীরা ২ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র নিয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কেন্দ্র এসব পেঁয়াজ পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের অনুমতি দিচ্ছে।
এম.কে
৩০ আগস্ট ২০২৪