15.5 C
London
November 24, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

ইংল্যান্ডে ক্যান্সার রোগীদের নিয়ে বৈষম্য!

ইংল্যান্ডের ক্যান্সার রোগীদের নিয়ে রেসিজম বা জাতিগত বৈষম্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বলা হচ্ছে, কৃষাঙ্গ এবং এশীয় লোকেদের রোগ নির্ণয়ে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় বেশি সময় নিচ্ছে। অনেক সময় তাদের অতিরিক্ত ছয় সপ্তাহ অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।

 

এক্সেটার ইউনিভার্সিটি এবং দ্য গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানে জানা গেছে, শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় সংখ্যালঘু ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। জাতি এবং স্বাস্থ্য নেতারা বিষয়টিকে “গভীরভাবে উদ্বেগজনক” এবং “একদম অগ্রহণযোগ্য” বলে অভিহিত করেছেন।

 

এক দশক ধরে ১ লাখ ২৬ হাজার ক্যান্সার কেস বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে একজন শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তির ক্ষেত্রে জিপির কাছে লক্ষণ প্রকাশ করা থেকে রোগ নির্ণয়ের মধ্যবর্তী সময় হল ৫৫ দিন। এশিয়ান মানুষের জন্য, এটি ৬০ দিন (৯% বেশি)। কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য, এটি ৬১ দিন (১১% বেশি)।

 

রোগ নির্ণয় বিলম্বের অর্থ হতে পারে কম চিকিৎসা দেওয়া। তাছাড়া এটি কম কার্যকর – এতে রোগমুক্তির সম্ভাবনা কম থাকে।

 

নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এই বৈষম্য আরও বেশি। শ্বেতাঙ্গদের ক্ষেত্রে খাদ্যনালীর ক্যান্সার নির্ণয়ে সময় লাগে ৫৩ দিন। এদিকে এশিয়ান মানুষের জন্য এটি ১০০ দিন। শ্বেতাঙ্গদের ক্ষেত্রে ব্লাডক্যান্সার নির্ণয়ে লাগে ৯৩ দিন, অপরদিকে কৃষ্ণাঙ্গদের লাগে ১২৭ দিন।

 

সরকার এবং এনএইচএস বারবার স্বাস্থ্যসেবায় জাতিগত বৈষম্য মোকাবেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন এ ধরনের বৈষম্য ঘটছে তা খুজে বের করতে এবং এমনটি যেন আর না ঘটে সেইজন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

 

২৯ আগস্ট ২০২২
এনএইচ

আরো পড়ুন

কুয়েতে বিল পরিশোধ না করলে দেশে ফিরতে পারবে না প্রবাসীরা

সাবিনা নেছার জানাজা শুক্রবার ইস্ট লন্ডন মসজিদে

ইংল্যান্ডে এক বন্দীর পেছনেই খরচ ৭২ লাখ টাকা