ইউক্রেনের সঙ্কট নিয়ে আলোচনার জন্য ন্যাটো প্রধানদের সাথে দেখা করার সময় বরিস জনসন সতর্ক করেছেন যে ইউরোপ একটি ‘খুব বিপজ্জনক মুহুর্তের’ মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
ন্যাটোর নীতিতে দৃঢ় থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিতে এবং ইউক্রেনের সীমান্তে রুশ সেনা সমাবেশের সময় ব্রিটেন কীভাবে সামরিক সহায়তা দিতে পারে সে বিষয়ে আলোচনার জন্য ব্রাসেলস ও ওয়ার’শ যাচ্ছেন জনসন।
ইউক্রেন ইস্যুতে জনসনের এ সফরও আন্তর্জাতিক কূটনীতির অংশ। এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। আর আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস মার্কিন মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বরিস জনসন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে আমরা যদি মৌলিক বিষয়গুলির উপর দৃঢ়তা আঁকড়ে ধরে রাখতে পারি, সেই মৌলিক নীতিগুলো যা আমাদের জোটকে সংজ্ঞায়িত করে এবং কূটনীতির সাথে শক্তিশালী প্রতিরোধকে একত্রিত করে, তাহলে আমরা এই সঙ্কটের মধ্যেই একটি সমাধানের পথ খুঁজে পেতে পারি।’
ব্রিটেন বৃহস্পতিবার ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেন আক্রমণ না করার জন্য একটি ‘শক্তিশালী’ সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে কারণ রাশিয়া বেলারুশের সাথে একটি বিশাল সামরিক মহড়া শুরু করছে।
জনসনের কার্যালয় থেকে বুধবার পুনরায় বলা হয়, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা বহু মানুষকে বাস্তুচ্যুত করবে। যার প্রভাব পড়বে পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ায়। এর আগে ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া।
ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ার প্রায় এক লাখ সেনা সমাবেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ আশঙ্কা করছে, মস্কো হয়তো কিয়েভে হামলা চালাতে পারে।
যদিও রাশিয়া ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। কিন্তু দেশটি ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করেছে।
মস্কো আরও একটি বিষয়ের নিশ্চয়তা চায়। সেটি হলো—সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো তার সম্প্রসারণ কার্যক্রম বন্ধ করবে। কিন্তু ওয়াশিংটন ও ন্যাটো রাশিয়ার এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
এনএইচ