দক্ষিণ এশিয়ায় ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মাঝেই নতুন করে উত্তাপ ছড়ালো তুরস্ক-পাকিস্তান সম্পর্ক। সম্প্রতি করাচি বন্দরে নোঙর করেছে তুরস্কের একটি আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। দুই দেশের ক্রমবর্ধমান সামরিক সহযোগিতা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তুরস্কের এই যুদ্ধজাহাজ করাচিতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জাহাজটিকে অভ্যর্থনা জানান। এই সফরের অংশ হিসেবে দুই দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে যৌথ মহড়া এবং প্রযুক্তি আদান-প্রদানের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্ক শুধু প্রতীকী নয়, বরং এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত জোট গঠনের ইঙ্গিত। এরইমধ্যে তুরস্ক পাকিস্তানকে অত্যাধুনিক ড্রোন, রাডার সিস্টেম ও যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ প্রযুক্তি সরবরাহে আগ্রহ দেখিয়েছে।
ভারত এই ঘটনাকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। নয়াদিল্লির নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, চীন-পাকিস্তান ঘনিষ্ঠতার পাশাপাশি তুরস্কের মতো আরেক শক্তিধর দেশের সক্রিয়তা ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের প্রভাবকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্র বলছে, তারা পরিস্থিতি নজরে রাখছে এবং নিজেদের সামুদ্রিক নিরাপত্তা জোরদারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। পাশাপাশি ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে, “এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে সব পক্ষের দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত।”
তুরস্কের যুদ্ধজাহাজের এই সফর আপাতদৃষ্টিতে বন্ধুত্বের বার্তা দিলেও, এর আড়ালে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন একটি কৌশলগত বলয়ের আভাস স্পষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এম.কে
০৫ মে ২০২৫