স্বাস্থ্য সচিব সাজিদ জাভিদ বলেছেন, পরিবারের সদস্যদের উচিত প্রিয়জনের ধূমপান ত্যাগ, ভালো খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ এবং মাদক পরিহারের মাধ্যমে এনএইচএস-এর উপর থাকা বিশাল চাপ কমাতে সাহায্য করা।
পরস্পরকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে রাজি করাতে আত্মীয়দের করণীয় কাজগুলো করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও ভালোভাবে অসুস্থতার ক্রমবর্ধমান জোয়ারকে মোকাবেলা করতে পারে। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) একটি বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন, জানায় গার্ডিয়ান।
এসময় তিনি বলেন, অসুস্থতা প্রতিরোধে পরিবারগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ, আগামী বছরগুলোতে বিভিন্ন অসুস্থতায় ক্রমবর্ধমান সংখ্যক বয়স্ক লোকের ভিড়ে আটকে যেতে পারে এনএইচএস।
নিজের পারিবারিক ইতিহাস টেনে এনে জাভিদ বলেছেন, যখন আমার বয়স পাঁচের কাছাকাছি, তখন আমার বাবা একজন ধূমপায়ী ছিলেন। একদিন আমার মা তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলেছিলেন: ‘তুমি মারা গেলে তোমার ছেলেদের কোনো বাবা থাকবে না।’ এরপর তিনি আর কখনও ধূমপান করেননি।
“এই ধরনের হস্তক্ষেপ আমাদের কল্পনার চেয়ে বেশি শক্তিশালী। পরিবারের চেয়ে শক্তিশালী অনুপ্রেরণামূলক শক্তি আর নেই।”
তিনি উল্লেখ করেন, তার বাবা অনেক বছর পরে কোলন ক্যান্সারে মারা গিয়েছিলেন, কিন্তু ৩০ বছর বয়সের দিকে তিনি ধূমপান ত্যাগ করায় পরিবারের সংঙ্গে একসাতথে অনেক সময় অতিবাহিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
সাজিদ জাভিদের মতে, আত্মীয়দের সাথে কথোপকথন মানুষকে আরও স্বাস্থ্যকরভাবে জীবনযাপনে সাহায্য করে।
কোভিড মহামারির দুই বছর পর এনএইচএস-এর “পুনরুদ্ধারের রাস্তা” নামের একটি বিলের বিষয়ে জাভিদ বলেন, অবশ্যই আরও বেশি অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা কসংস্কার করতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, ২০০০ সালে স্বাস্থ্যসেবা খাতে জনসাধারণের ব্যয় ছিল ২৭ শতাংশ। বর্তমান প্রবণতা অনুসারে ২০২৪ সালের মধ্যে এই ব্যয় ৪৪ শতাংশ বাড়বে, যা হতে দেওয়া যাবে না।
১০ মার্চ ২০২২
এনএইচ