যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ দলের নেতা মি. সুনাক নিশ্চিত করেছেন তার উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার ব্যবস্থা হয়ে গেলেই তিনি টোরি নেতা হিসাবে পদত্যাগ করবেন।
তবে গত কয়েক দিন ধরে আলোচনা চলছে কনজারভেটিভ দলের নতুন নেতৃত্ব নিয়ে। দলের ভিতরে বিশৃঙ্খলা এড়াতে একজন অন্তর্বর্তীকালীন নেতাকে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন কেউ নেতৃত্বে আসতে পারেন, যিনি আগে মন্ত্রিসভায় কাজ করেছিলেন। স্যার অলিভার ডাউডেন, জেমস ক্লেভারলি কিংবা জেরেমি হান্টের নাম অন্তর্বর্তীকালীন নেতা হিসাবে আলোচনায় রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম।
প্রতিবেদনে আরো জানা যায়, কিছু নেতা আছেন যারা দীর্ঘদিন ধরে পর্দার আড়ালে কাজ করছেন কনজারভেটিভ পার্টির জন্য। যার মধ্যে আছেন কেমি ব্যাডেনোচ এবং টম টুগেনধাত। সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান এবং রবার্ট জেনরিককেও দলের ভেতর হতে নেতৃত্বে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
তারা সকলেই দলের সুনজরে আছেন এবং অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করেছিলেন।
সুয়েলা ব্রাভারম্যান এবং কেমি ব্যাডেনোচ তাদের কয়েকজন ডানপন্থী মিত্রের সমর্থন হারিয়েছেন। মি. টুগেনধাতেরও কয়েকজন সমর্থক তার পক্ষ ত্যাগ করেছেন বলে জানা যায়।
তবে নেতৃত্ব বাছাই করতে সকল নির্বাচিত কনজারভেটিভ এমপিরা কোন দিকে ঝুঁকবেন সেটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর কারণ হল, ভবিষ্যৎ কনজারভেটিভ পার্টি কোন দিকে যাবে তা এখনই নির্ধারিত হবে।
কেমি ব্যাডেনোচ, সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান বা জেনরিকের মতো ডানপন্থী কাউকে নেতা নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন। যাতে করে ডানপন্থী রিফর্ম ইউকে’র ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে ডানপন্থী নেতৃত্ব দ্বারা রোধ করা যায়। রিফর্ম ইউকে এবারের নির্বাচনে বেশ কয়েকটি আসন থেকে জয়লাভ করেছে। তবে এরচেয়ে খারাপ খবর কনজারভেটিভ দলের জন্য রিফর্ম ইউকে দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থানে থেকে অনেক আসনের নির্বাচন শেষ করেছে।
দলের কেউ কেউ বলেন, অভিবাসনের মতো ইস্যুতে কঠোর না হওয়াটাই তাদের পতনের মূল কারণ।
আরেক বিশ্লেষণে জানা যায়, মি. টুজেন্ডহাট অথবা জেরেমি হান্ট-এর মতো নেতা নির্বাচন করে কনজারভেটিভ পার্টি মধ্যপন্থার দিকে এগিয়ে যেতে পারে। রাজনৈতিক অঙ্গনে লেবার পার্টি যে জায়গাটি দখল করে আছে সেটি কনজারভেটিভরা পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করতে পারে।
দলের কেউ কেউ যুক্তি দেন টোরিদের ডানপন্থী মনোভাবই মূল সমস্যা ছিল। তাদের ডানপন্থী মনোভাবের কারণে সমাজের উদার মনোভাব সম্পন্ন ভোটাররা কনজারভেটিভ পার্টির কাছ থেকে দুরে সরে গেছে। এসব ভোটার আর্থিকভাবে রক্ষণশীল হলেও সামাজিকভাবে উদার।
সামনের দিনগুলোতে কনজারভেটিভ দলের নতুন নেতৃত্ব খুঁজে বের করতে অনেক চেষ্টা এবং অনুসন্ধান চলবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
০৮ জুলাই ২০২৪