10.3 C
London
November 17, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

কর বাড়ানোর বিকল্প নেই পরবর্তী ব্রিটিশ সরকারের

যুক্তরাজ্যের পরবর্তী সরকার কর বাড়াতে বাধ্য হবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।এমনকি এ সপ্তাহের হালনাগাদ বাজেটে অর্থমন্ত্রী হান্ট অর্থনীতির ইতিবাচক চিত্র দেখালেও আশঙ্কা কাটবে না বলে জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় সরকারের উপর
চাপ,দুর্বল প্রবৃদ্ধি এবং দেশটিতে প্রবীণ জনগোষ্ঠী
বেড়ে যাওয়ার কারণে কর কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে
বাধ্য হবে সরকার।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ২০২৫ সালের জানুয়ারির আগেই নির্বাচন।জনমতের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত এগিয়ে বিরোধী দল লেবার পার্টি।তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো সরকার কিংবা বিরোধী দলের কেউই কর বাড়ানো নিয়ে এখন পর্যন্ত কথা বলতে নারাজ। দেশটিতে যুক্তরাজ্য প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। তাছাড়া ঋণসংক্রান্ত ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চাপ পড়েছে সরকারি পরিষেবায়।

ইউরোপের অন্য দেশগুলোকেও এ প্রতিবন্ধকতা
মোকাবেলা করতে হচ্ছে। কিন্তু ব্রিটেনের প্রবৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে বেশি দুর্বল। সুদহার বেড়েছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। যার কারণে সরকারের জন্য দীর্ঘমেয়াদে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন। এটি নীতিনির্ধারকদের নীতিমালা প্রণয়নের সুযোগ সংকুচিত করে এনেছে।

ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের অর্থনীতিবিদ জেমস স্মিথ মনে করেন, ‌কর বৃদ্ধিকে মোকাবেলা করা আগামী দিনগুলোয় কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তার ভাষায়, ‘কোনো পক্ষই এ বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলতে চায় না। তারা কর বাড়ানোর দায় নিজের কাঁধে নিতে চায় না। কিন্তু কর বাড়ানো অবশ্যম্ভাবী।’

ব্রিটেনে করের বোঝা এর মধ্যেই অনেক বেশি। সরকারের বাজেট অফিসের দেয়া তথ্যানুসারে, চলতি অর্থবছরে উত্তোলিত করের আকার জিডিপির ৩৭ শতাংশ। মহামারীর আগে আকার ছিল ৩৩ শতাংশ। ১৯৪৮ সালের পর থেকে জিডিপির বিপরীতে কর সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য ইউরোপীয় মানদণ্ডের বিচারে কর এখনো কমই।

২০২১ সালে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রকাশিত উপাত্ত অনুসারে, ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে জিডিপির বিপরীতে রাজস্ব উত্তোলন ব্রিটেনেই সবচেয়ে কম। ফ্রান্সে ৪৫ ও জার্মানিতে ৪০ শতাংশ।

পর্যবেক্ষকদের ভাষ্যমতে, সাম্প্রতিক বর্ধিত রাজস্ব আয়ের বড় অংশটাই ঘটেছে মূলত মজুরি বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির কারণে। যেহেতু মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে। আগামী বছর মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। ফলে তুলনামূলক কম হবে আয়। ফলে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, কর বাড়ানো ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

সম্প্রতি দি ইনস্টিটিউট ফর ফিসক্যাল স্টাডিজ (আইএফএস) এবং রেজল্যুশন ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, পরবর্তী সরকারকে কর নিয়ে ভাবতে হবে।

ব্রিটেনের বার্ষিক জিডিপি ২০১০-১৯ পর্যন্ত ২ শতাংশ ছিল। ১৯৯৭-২০০৭ পর্যন্ত গড় জিডিপি ছিল ৩ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিবেদন অনুসারে, উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে ব্রিটেনের প্রবৃদ্ধি থাকবে সবচেয়ে দুর্বল। আর দুর্বল প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি দেশটিতে সরকারি ঘাটতির আকার ১৯৬০ সালের পর সর্বোচ্চ। সে সময়ে অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে জিডিপির বিপরীতে ঘাটতির হার ছিল ৩৬ শতাংশ। কিন্তু বর্তমানে ৯৮ শতাংশ।

সূত্রঃ রয়টার্স

এম.কে
২৩ নভেম্বর ২০২৩

আরো পড়ুন

বিমানের সব ফ্লাইট বাতিল করলো সৌদি আরব

বাংলাদেশে সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে ভলকার টুর্ককে দেড় শতাধিক বিদেশি বিশিষ্টজনের চিঠি

১১ মার্চ হতে কেয়ার ওয়ার্কার যুক্তরাজ্যে পরিবার আনতে পারবেন না