ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হচ্ছে বিজেপির। ৮১ সদস্যের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ছিল ৪১টি আসন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট কমপক্ষে ৫৭টি আসন পেয়ে জয় নিশ্চিত করেছে।
হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস, লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) নিয়ে ‘ভারত জোট’ গঠিত। এর মধ্যে জেএমএম পেয়েছে ৩৪টি আসন, কংগ্রেস পেয়েছে ১৬টি আসন, আরজেডি পেয়েছে ৪টি আসন এবং সিপিআইএমএল লিবারেশন পেয়েছে ২টি আসন।
এদিকে, রাজ্য সরকারে বিজেপি এখন পর্যন্ত মাত্র ২০টি আসন পেয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার ঝাড়খণ্ডে কম আসন পেতে যাচ্ছে কট্টর জাতীয়তাবাদী দলটি।
নির্বাচনের আগে ঝাড়খণ্ডে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ বিষয়ে ভুয়া প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে ভোটারদের মাঝে ভয় ঢোকানোর কৌশল নিয়েছিল বিজেপি। তবে সেই প্রোপাগান্ডা প্রত্যাখ্যান করে দিল ঝাড়খণ্ডের জনগণ।
জয় নিয়ে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বলেছেন, লড়াই কঠিন ছিল। অনেকটাই গ্রাউন্ড লেভেলে গিয়ে কাজ করেছি। ভালো টিমওয়ার্ক ছিল। মানুষের কাছে আমরা আমাদের বার্তা পৌঁছতে পেরেছি। লোকসভায় দেখেছিলেন, যে আমাদের রাজ্যে কীভাবে বার্তার মুভমেন্ট হয়। যে সময় জেলে ছিলাম, সেই সময় জেলের বাইরে থাকলে হয়তো ফলাফল আরও সারপ্রাইজ করত।
২০১৯ সালে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ক্ষমতায় আসার আগে রাজ্যটি শাসন করেছে বিজেপি জোট। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিজেপির রঘুবর দাস। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন একজন আদিবাসী।
এম.কে
২৪ নভেম্বর ২০২৪