14 C
London
September 8, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

‘কানাডা সিটিজেন নারীর জন্য পাত্র চাই’ বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ

‘কানাডার সিটিজেন ডিভোর্সি ও সন্তানহীন নারীর জন্য পাত্র চাই’এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করে প্রায় কোটি ৩০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে জান্নাতুল ফেরদৌসকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দারের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করে গণমাধ্যম।

অভিযোগে বলা হয়, গত ১১ বছর ধরে সাদিয়া জান্নাত ওরফে জান্নাতুল ফেরদৌস পত্রিকায় এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে এসব টাকা হাতিয়ে নেয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস হলেও তার কথাবার্তা ও স্মার্টনেস দেখে কানাডা প্রবাসী ভেবেই সবাই ভুল করতো। আর এভাবেই তার ফাঁদে পড়ে কোটি টাকা খোয়া গেছে অনেকের।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পরিচালিত সিআইডির অভিযানে তার কাছ থেকে ভুক্তভোগীদের অনেক পাসপোর্ট, ১০টি মোবাইল ফোন, ৩টি মেমরি কার্ড, ৭টি সিল, অসংখ্য সিম ও প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাত করা টাকার একটি হিসাব বই উদ্ধার করা হয়।

সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, এ বছরের ৯ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়- প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, কানাডার সিটিজেন, ডিভোর্সি, সন্তানহীন, বয়স ৩৭, ৫.৩ ফুট লম্বা, নামাজি পাত্রীর জন্য ব্যবসার দায়িত্ব নিতে আগ্রহী বয়স্ক পাত্র চাই। যোগাযোগের জন্য ঠিকানা- বারিধারা। এরপর একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া।

এভাবেই ২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল প্রতারক জান্নাতুল ফেরদৌস। সে তার প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে মিলে এই প্রতারণা শুরু করে। ঢাকা ও এর আশপাশে তার ২০ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে সিআইডি।

তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞাপন দেখে মো. নাজির হোসেন প্রতারক জান্নাতুলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন। একপর্যায়ে গত ১২ জুলাই গুলশান-১ থাই সিগনেচার রেস্টুরেন্টে দেখা করেন। বিয়ের পর তাকে কানাডায় নিয়ে যাবে এবং সেখানে তার ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা দেখভাল করবেন, জান্নাতুলের এসব কথায় বিশ্বাস করে ভুক্তভোগী প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও পাসপোর্ট দেন। পরে প্রতারক জান্নাতুল জানায়, কানাডায় প্রচণ্ড শীত তাই সেখান থেকে তার দুইশত কোটি টাকা ফেরত নিয়ে আসবেন। পরে দেশেই ব্যবসা করবেন।

অভিযোগে বলা হচ্ছে, ডিএইচএল এর মাধ্যমে ওই টাকা ফেরত আনতে ভুক্তভোগী নাজির হোসেনের কাছ থেকে বিভিন্ন তারিখে ট্যাক্স/ভ্যাট/ডিএইচএল বিল বাবদ সর্বমোট ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে ফোন বন্ধ করে প্রতারক জান্নাতুল ফেরদৌস।

তিনি বলেন, গত ১১ বছরে অসংখ্য মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে সে। তার একটি হিসাব খাতা জব্দ করা হয়েছে। সেখানে প্রায় ২৫/৩০ কোটি টাকার হিসাব আমরা পেয়েছি। তার চারটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে আমরা সেগুলোতে ১ কোটি টাকা পেয়েছি।

জানা যায়, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হলে পরে সে মোবাইল নম্বর বন্ধ করে দিতো। আমরা এই চক্রের আরও সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
এনএইচ

আরো পড়ুন

বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমানে লোক নেবে দুবাই

অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা বাড়ছে, শপথ শুক্রবার

আন্দোলনে আহত ছাত্রদের চিকিৎসা দেবে সিএমএইচ