কারফিউ শিথিল করার পর বাংলাদেশের বিভিন্ন অফিস আদালত এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খুলতে শুরু করেছে৷ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলেও এখনো মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়নি৷
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা নেটব্লকসের তথ্য উল্লেখ করে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এখনো বাংলাদেশে স্বাভাবিকের কেবল ২০ শতাংশ ইন্টারনেট চালু রয়েছে৷
টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন আজ (বুধবার) রাত থেকেই সারা দেশে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হবে৷ আগামী সপ্তাহের আগে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার মধ্যে ১৮ জুলাই রাতে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়৷ এর পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই সীমিত আকারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালু হয়৷
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে গত কয়েকদিনের সংঘাতময় পরিস্থিতির পর বুধবার থেকে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
তিন দিনের সাধারণ ছুটির পর আজ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে অফিসআদালতের কার্যক্রম। আজ ঢাকাসহ চার জেলায় সাত ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়েছে।
সেই সাথে বুধবার সকাল ১১টা থেকে চার ঘন্টার জন্য সরকারি – বেসরকারি সব অফিস খোলা থাকবে।
এছাড়া গতকাল দিনের বেলাতেই বিভিন্ন রুটে সীমিত পরিসরে চলতে শুরু করেছে দূরপাল্লার যানবাহন।
মঙ্গলবার রাত থেকে সীমিত পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে ইন্টারনেট চালু করা হয়েছে।
আজ থেকে খোলা থাকবে পোশাক কারখানাগুলোও।
এছাড়া মহাসড়কগুলোতে যান চলাচল শুরু হয়েছে। যানবাহন বেড়েছে ঢাকার সড়কে। সীমিত পরিসরে খুলছে দেশের বানিজ্যিক ব্যাংকগুলো।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সড়কে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী এবং বিজিবির সদস্যদের টহল রয়েছে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে ১৬ই জুলাই থেকে সারাদেশে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়, যা এক পর্যায়ে সংঘাতে রূপ নেয়।
কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় এ পর্যন্ত বাংলাদেশ অন্তত দেড়শ মানুষ নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
সূত্রঃ DW বাংলা, বিবিসি বাংলা