গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেছে। কারারক্ষীদের সঙ্গে বন্দিদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে ও কারাগারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিদ্রোহ দমনে কারারক্ষীরা গুলি বর্ষণ করেন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৬ জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) ভোরে কারাগার থেকে মৃত অবস্থায় বন্দিদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নিহতরা হলেন- নওগাঁর মান্দা থানার কাঞ্চনপুর এলাকার আ. সালাম সরদারের ছেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসলাম হোসেন (২৭),জয়পুরহাটের রইস উদ্দিনের ছেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আফজাল হোসেন (২৭), মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থানার রামেশ্বরপুর এলাকার মো. মকবুল মিয়ার ছেলে ইমতিয়াজ (২৭), মৃত সীতারামের ছেলে রাধেশ্যাম (৬৭), টাঙ্গাইলের নাগরপুর এলাকার স্বপন শেখ (৪৫) ও জাকির হোসেনের ছেলে জিন্নাহ (২৯)।
নিহতরা সবাই কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন।
কারাগার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও পতনের পর মঙ্গলবার দিনব্যাপী কাশিমপুর কারাগারে বিদ্রোহ করেন বন্দিরা।
এক পর্যায়ে গাজীপুর কাশিমপুরের ৪টি কারাগারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কারারক্ষীদের সঙ্গে বন্দিদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় কারারক্ষীরা গুলি ছোড়ে। এতে ওই ৬ বন্দি গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে বুধবার ভোরে তাদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক ওই ৬ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের প্রত্যেকের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। বিদ্রোহের ঘটনায় কাশিমপুরের চারটি কারাগারসহ আশপাশ এলাকা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সড়ক ও আকাশ পথে সেনাবাহিনী সদস্যরা কারাগারে এসে অবস্থান নেয়।
গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) মো. মোস্তাক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই ৬ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তারা সবাই কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিল। তাদের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
মোবাইল ফোনে কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা কল রিসিভ করেননি। যে কারণে কারা কর্তৃপক্ষের কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এম.কে
০৭ আগস্ট ২০২৪