একটি নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক কৌশল পারকিনসন্স রোগের চিকিৎসার জন্য সম্ভাবনার দোয়ার খুলতে যাচ্ছে। নতুন ঔষধের ব্যবহার ও পার্কিনসন সনাক্তকরণকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উল্লেখযোগ্যভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নেচার কেমিক্যাল বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা তথ্যানুযায়ী এই কাজটির অর্থ হতে পারে পারকিনসন্সের ক্লিনিকাল ট্রায়াল এবং রোগীদের জন্য নতুন চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও দ্রুততম সময়ে পৌঁছে দেয়া।
গুরুতর রোগের জন্য ঔষধ আবিষ্কার একটি ধীর, শ্রমসাধ্য এবং ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। প্রাথমিক পরীক্ষাগারের পরীক্ষা থেকে রোগীদের ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ অনুমোদন পর্যন্ত ঔষধ তৈরি করতে সাধারণত ১০-১৫ বছর সময় লাগে।
রোগ শনাক্তকরণে সাধারণত কয়েক মাস বা এমনকি বছরও লাগতে পারে কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থায় তা আরো দ্রুততম হবে বলে জানা যায়। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ইউসুফ হামিদ এবং গবেষণাগারের পরিচালক মিশেল ভেন্ড্রুসকোলো বলেন, “এআই এবং মেশিন লার্নিং কৌশলগুলি এই প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পর্যায়ের গতি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছে। তাছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইতোমধ্যে ক্যান্সার এবং অন্যান্য বিভিন্ন রোগের সম্ভাব্য ঔষধ আবিষ্কার করতে নেতৃত্ব দিয়েছে।”
ভেন্ড্রুসকোলো একটি প্রেস রিলিজে বলেন, “পারকিনসন্সের সম্ভাব্য চিকিৎসা অনুসন্ধানে ছোট অণুগুলি শনাক্তকরণ প্রয়োজন। যা আলফা-সিনুকলিনের একত্রিতকরণকে বাঁধা দিতে পারে, যা এই রোগের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত একটি প্রোটিন। এই ব্যবস্থা যে ধারায় কাজ করে যাচ্ছে তাতে অগ্রিম রোগ শনাক্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দারুণ কাজ করবে”।
নতুন গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে কীভাবে এআই-ভিত্তিক কৌশল রোগ নির্ণয় প্রক্রিয়াকে গতিশীল করে যা প্রথাগত পদ্ধতির তুলনায় হাজার গুণ সস্তা ছিল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে পরীক্ষাগারে সম্ভাব্য দরকারী যৌগগুলিকে দ্রুত শনাক্ত করে। এই পরীক্ষাগুলির ফলাফল ভবিষ্যতে আরো বেশি নির্দিষ্ট রেজাল্ট আনার জন্য অত্যাধুনিক মেশিন লার্নিং মডেলে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা৷
সূত্রঃ দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট
এম.কে
১৯ জুন ২০২৪