8.3 C
London
January 23, 2025
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

কোকা-কোলার ব্যবসায় ধস নেমেছে বাংলাদেশে

ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধের জেরে কোকা-কোলার ব্যবসায় ধস নেমেছে বাংলাদেশে। এর মাঝে নতুন একটি বিজ্ঞাপনের কারণে নতুন করে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে হৈচৈ।

গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কোকা-কোলা ব্যাপক বয়কটের মুখে পড়ে এবং তাদের বিক্রিও হ্রাস পায়। তাই কোকা-কোলা নিজেদের ইসরায়েল থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে। সেই বিজ্ঞাপনে বলা হচ্ছে—কোককে সবাই যে দেশের পণ্য মনে করছে, আসলে সেই দেশের পণ্য নয় কোকাকোলা। মানুষ সঠিক তথ্য না জেনেই কোকাকোলা বয়কটের ডাক দিয়েছে। ১৯০টি দেশের মানুষ কোক খায়। এমনকি ফিলিস্তিনে কোকাকোলার ফ্যাক্টরি রয়েছে। তাই বিভ্রান্ত না হয়ে গুগলে সার্চ দিয়ে নিশ্চিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বিজ্ঞাপনটিতে।

কিন্তু বিজ্ঞাপন প্রচারের পর বাংলাদেশে কোকা-কোলা নিয়ে নতুন করে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিজ্ঞাপনটি প্রচারের পর বয়কটের ডাকে এখন সরব সোশ্যাল মিডিয়া। ‘যেই দোকানে থাকবে কোক সেই দোকান-ই বয়কট হোক’— এমন অভিনব স্লোগানে কোকাকোলা বয়কটের দিচ্ছেন নেটিজেনরা। বিজ্ঞাপনে অভিনয় করা শিল্পিদের বয়কটের ডাকও দিচ্ছেন তারা।

ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের জেরে ইসরায়েলি সমর্থনের অভিযোগে মুসলিম দেশগুলোর নাগরিকেরা কোকাকোলা বয়কটের ডাক দেয়। সেই বয়কটের প্রভাবও পড়ে বাংলাদেশে।

উল্লেখ্য যে, ফিলিস্তিনের কোকাকোলার ফ্যাক্টরি ফিলিস্তিনিদের জায়গা দখল করে করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলছেন অনেকে। এছাড়া কোকাকোলা কোম্পানিতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ থাকা তিন কোম্পানি বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে, ভ্যানগার্ড গ্রুপ, ব্ল্যাকরক প্রত্যক্ষভাবে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব এবং ফিলিস্তিনে গণহত্যাকে সমর্থন করছে বলে অভিযোগ তুলছেন কেউ কেউ। কেউ কেউ আবার কোকাকোলাকে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের রক্ত মন্তব্য করে তা বয়কটের ডাক দিচ্ছেন।

সূত্রঃ আল জাজিরা

এম.কে
১৩ জুন ২০২৪

আরো পড়ুন

নিজ কার্যালয়ের দেয়াল থেকে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরালেন জাবি অধ্যাপিকা

দেশেই আছেন সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল, আত্মসমর্পণেও রাজি

শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে নরওয়ে এবং ইউএনডিপির চুক্তি