4.5 C
London
December 17, 2025
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

খুলনা–১ আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য হিন্দু প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দীর নাম নিয়ে রাজনৈতিক তোলপাড়

খুলনা–১ (বটিয়াঘাটা–দাকোপ) আসনে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন নেতাকে প্রার্থী করা নিয়ে নতুন রাজনৈতিক আলোচনার সৃষ্টি করেছে জামায়াতে ইসলামী। আসনটিতে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছে ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের হিন্দু শাখার সভাপতি কৃষ্ণ নন্দীর নাম। মিয়া গোলাম পরওয়ারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই নেতা নিজেও প্রার্থীতার বিষয়ে ইতিবাচক সংকেত পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

 

কৃষ্ণ নন্দী বলেন, দল তাকে মোটামুটি নিশ্চিত করেছে এবং আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হলে তিনি প্রচারে নামবেন। বর্তমানে তার লোকজন এলাকায় কাজ করছে বলেও জানান তিনি। ২০০৩ সালে জামায়াতে যোগ দেওয়া কৃষ্ণ নন্দীর নেতৃত্বে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সমাবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সক্রিয় উপস্থিতি দেখা গেছে।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মুন্সি মিজানুর রহমান জানান, কেন্দ্র থেকে আগের একটি প্রার্থী তালিকা থাকলেও কিছু আসনে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও উপজাতি প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দ্রুতই জানানো হবে। আগে ঘোষিত প্রার্থী বটিয়াঘাটা উপজেলা জামায়াতের আমির শেখ আবু ইউসুফ হলেও পরিবর্তনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি তিনি।

এদিকে আসনটিতে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান ছাড়াও জিয়াউর রহমান (পাপুল) ও পার্থ দেব মণ্ডল এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন। বাম গণতান্ত্রিক জোট থেকেও কিশোর কুমার রায় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে ‘আওয়ামী লীগের ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত এই আসনে সংখ্যালঘু প্রার্থীরাই জয়ী হয়েছেন। ১৯৭৩ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক নির্বাচন পর্যন্ত এই আসনের বিজয়ীরা প্রায় সবাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। আওয়ামী লীগের ননী গোপাল মণ্ডল ও পঞ্চানন বিশ্বাসের ধারাবাহিক উপস্থিতিতে আসনটি বরাবরই সংখ্যালঘু নেতৃত্বে থেকেছে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, ১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদ নির্বাচন থেকে বর্তমান খুলনা–১ আসনে সংখ্যালঘু প্রার্থীদের প্রভাব অটুট। ২০২৪ সালেও বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের ননী গোপাল মণ্ডল। এ অবস্থায় জামায়াত হিন্দু প্রার্থী দেওয়ার মাধ্যমে ভোটব্যাংকে ভিন্ন বার্তা দিতে চাইছে বলে মনে করছেন স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা।

কৃষ্ণ নন্দীর সম্ভাব্য প্রার্থীতা এলাকায় নতুন আগ্রহ তৈরি করেছে। তবে চূড়ান্ত মনোনয়ন কী হবে—তা নিয়ে রাজনৈতিক জোটগুলোর দৃষ্টি এখন জামায়াতের পরবর্তী ঘোষণার দিকে।

সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া

এম.কে

আরো পড়ুন

বন্যাদুর্গত বাংলাদেশিদের নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার এ কেমন হাস্যরস!

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে সেনাবাহিনী জড়ো হয়নি, বিষয়টি গুজব

অবৈধ সংযোগ বন্ধে চালু হচ্ছে আবাসিক গ্যাস সংযোগ!