দেশের গার্মেন্টস খাতে অস্থিতিশীলতার জন্য প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। শ্রমিক অসন্তোষ অনেকটাই দূর হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, এই খাতের সব শ্রমিককে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
আজ শনিবার দুপুরে এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত শ্রম অধিকার ও পোশাক খাতে অস্থিরতা নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
শ্রম সচিব বলেন, ‘পোশাক খাতে অস্থিতিশীলতার জন্য শ্রমিক, মালিক, শিল্প ও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যারা (শ্রমিক) এখনও পাওনা বুঝে পায়নি তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, আন্দোলনরত পোশাক-শ্রমিকদের ২৫ দফা দাবি-দাওয়ার অনেকগুলো যৌক্তিক, অনেকগুলো অযৌক্তিক।
‘গাজী টায়ার কারখানায় আগুনে কত মানুষ মারা গেছে সে সংখ্যা এখনও আমরা জানি না। এ ঘটনায় হাজার হাজার মানুষ কাজ হারিয়েছেন। এ কারখানায় যে পণ্য উৎপাদন হতো সে চাহিদা মেটাতে এখন ডলার দিয়ে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে।’
মালিক ও শ্রমিককে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় যেন সমান সেবা দেয় তা নিশ্চিত করতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। বলেন, ‘বেক্সিমকোসহ যেসব প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা দেশের ইকোনমিক ড্যামেজ। বিপুলসংখ্যক মানুষ এর ফলে কর্মহীন হয়েছে।’
গার্মেন্টস খাতে অস্থিতিশীলতার জন্য প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করেন শ্রম সচিব। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকেরা তার কাছে প্রতিবেশী দেশের নাম জানতে চাইলে তিনি তা বলেননি।
বাংলাদেশ পোশাক শিল্পে বিশ্বে শীর্ষে যেতে চায় জানিয়ে শ্রম সচিব বলেন, ‘এখানে শ্রমিক আনরেস্টের পেছনে বাইরের (দেশের) ইন্ধন আছে। এবার এসব নিয়ে কাজ করা হবে। আমাদের এখানে এ খাতে আনরেস্ট থাকলে বায়াররা কমদামে কিনতে বারগেইনিং করতে পারবে। প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো আমাদের বাজার দখলের চেষ্টা করবে।’
মালিকদের মধ্যে ঐক্য আছে কিন্তু শ্রমিকদের মধ্যে নেই জানিয়ে শ্রম সচিব বলেন, শ্রমিকদের মধ্যে ঐক্য নিশ্চিত করতে হবে।
এম.কে
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪