ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসা কার্যক্রম চালু থাকবে, জানিয়েছেন মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,“আমরা ভিসা ও গ্রিন কার্ডের প্রক্রিয়া আরও দ্রুত ও নিরাপদ করেছি। আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাচ্ছে।”
তবে একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করেন, নতুন এইচ-১বি ভিসা ও গ্রিন কার্ড প্রার্থীদের জন্য তিনটি বাধ্যতামূলক শর্ত কার্যকর করা হয়েছে।
ভিসাধারী বা আবেদনকারীদের প্রমাণ করতে হবে যে তারা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সমর্থক নন।
আবেদনকারীকে ‘সঠিক কারণ বা উদ্দেশ্যে’ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের প্রমাণ দিতে হবে।
তারা আমেরিকাবিরোধী বা ঘৃণাপূর্ণ কোনো সংগঠনকে সমর্থন করেন না—এ নিশ্চয়তা দিতে হবে।
ক্রিস্টি নোম বলেন,“আমাদের দেশ নিরাপদ রাখতে হলে অভিবাসন প্রক্রিয়ায় আরও কঠোরতা আনতে হবে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত জরুরি।”
তিনি বাইডেন প্রশাসনের কঠোর সমালোচনা করে দাবি করেন,“সাবেক প্রেসিডেন্ট হাজার হাজার সন্ত্রাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ দিয়েছিলেন এবং প্রতিরক্ষামূলক অভিবাসন কর্মসূচির অপব্যবহার করেছিলেন।”
ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পরই অভিবাসন নীতিতে একাধিক পরিবর্তন আনা হয়।গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি নতুন এইচ-১বি ভিসা আবেদনে নিয়োগকর্তাদের ১ লাখ ডলার এককালীন ফি দিতে হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই নতুন শর্তগুলো মার্কিন শ্রমবাজারে স্থানীয় কর্মীদের অগ্রাধিকার বাড়াবে এবং অভিবাসন প্রক্রিয়াকে আরও নিয়ন্ত্রিত করবে।
সূত্রঃ ফক্স নিউজ
এম.কে

