বাংলাদেশের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াচ্ছে সি জিনপিং-এর চীন। এটি যে শুধুই কথার কথা নয়, তা প্রমাণ করতেই ২০০ বিনিয়োগকারীসহ বাংলাদেশে আসছেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েন তাও। এই খবর এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ভারত বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে।
বিশ্বের ‘কারখানা’ নামে পরিচিত চীন ইতোমধ্যে বিনিয়োগের বিশাল প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিশেষ করে আমেরিকার ট্যারিফের বোঝা চাপার পর চীনের বিনিয়োগকারীরা কারখানা স্থাপনের জন্য বাংলাদেশকে বেছে নিলে, তা দেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানিয়েছেন, চীনের বাণিজ্য সচিব চিঠি দিয়েছেন—আগামী মাসে চীনা বাণিজ্যমন্ত্রীসহ প্রায় ২০০ বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে আসবেন। চীনারা বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগে আগ্রহী।
আশিক চৌধুরী বলেন, সার্বিকভাবে বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্পর্কিত তথ্য জানাতে চীনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে অনুরোধ এসেছে। প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে দ্রুত চীন বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
এরই মধ্যে চীনের হান্ডা কোম্পানির সঙ্গে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের একটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। ড. ইউনূসের চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল। এমনকি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সি জিনপিং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কর্মসূচিরও প্রশংসা করেছেন।
এম.কে
১১ এপ্রিল ২০২৫