যুক্তরাজ্যের কেন্টের নেপিয়ার ব্যারাক, যা আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য প্রথম দিকের গণআবাসন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাত,আরও এক বছর চালু থাকবে। ছোট নৌকায় আগমনের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাজ্য সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
হোম অফিস মার্চে সংসদে জানায়, নেপিয়ার সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত চালু থাকবে এবং পরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ৩২৮ জন পুরুষের জন্য নির্মিত এই ক্যাম্পে সম্প্রতি আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ৪০-এ নেমে এসেছিল, তবে আবারও নতুন আগমন বাড়ছে। কেন্ট উপকূলে পৌঁছানো নতুন অভিবাসীদের সরাসরি এই কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
গত বছরের তুলনায় ছোট নৌকায় আগমন ৫০% বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার চাপের মুখে পড়েছে। একই সময়ে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ বেড়েছে, যা সরকারকে এই পদক্ষেপে বাধ্য করেছে। ওয়েদারসফিল্ড আশ্রয়কেন্দ্রেও সংখ্যা ৫০% এর বেশি বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১,২০০ জনে পৌঁছেছে।
গণআবাসন কেন্দ্রগুলো সবসময় বিতর্কের মুখে। লিংকনশায়ারের আরএএফ স্ক্যাম্পটন এবং লিনটন-অন-ওউজ সামরিক ঘাঁটির প্রকল্প ব্যর্থ হয়েছে। স্ক্যাম্পটন প্রকল্পে অন্তত £৪৮ মিলিয়ন ক্ষতি হয়েছে, যদিও সেখানে কোনো আশ্রয়প্রার্থী রাখা হয়নি।
নেপিয়ার ব্যারাক অতীতে কোভিড প্রাদুর্ভাব, জীর্ণ অবকাঠামো এবং ডানপন্থী বিক্ষোভের কারণে সমালোচিত ছিল। স্থানীয় সহায়তা কেন্দ্র নেপিয়ার ড্রপ-ইন সেন্টারের পরিচালক স্যালি হাফ বলেন, “আমাদের তহবিল আগস্টে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কেন্দ্র চালু থাকলেও সহায়তা হাব না থাকায় বাসিন্দাদের ওপর বড় প্রভাব পড়বে।”
কেয়ারফরক্যালেইসের প্রধান নির্বাহী স্টিভ স্মিথ বলেন, “নেপিয়ার ও ওয়েদারসফিল্ডের মতো সামরিক ধাঁচের সাইটগুলো আশ্রয়প্রার্থীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বর্তমানে মানুষ সরাসরি ম্যানস্টন থেকে নেপিয়ারে পাঠানো হচ্ছে, অনেকের গায়ে থাকা কাপড় ছাড়া কিছু নেই। সরকারের এই সিদ্ধান্ত গভীর উদ্বেগের।”
হোম অফিস জানিয়েছে, তারা অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে যাতে আশ্রয়প্রার্থীদের আবাসনের খরচ কমানো এবং হোটেল ব্যবহার বন্ধের প্রতিশ্রুতি পূরণ করা যায়। নির্দিষ্ট সাইটের হালনাগাদ তথ্য স্বাভাবিক নিয়মে জানানো হবে।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
০৫ আগস্ট ২০২৫