15.3 C
London
October 5, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

জন্মহার কমায় ইংল্যান্ডে ২০২৯ সালের মধ্যে ৮০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের শঙ্কা

ইংল্যান্ডে জন্মহার কমে যাওয়া এবং শিক্ষার্থী সংখ্যা হ্রাসের কারণে ২০২৯ সালের মধ্যে প্রায় ৮০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। থিঙ্কট্যাঙ্ক এডুকেশন পলিসি ইনস্টিটিউট (EPI) জানিয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে প্রাথমিক শিক্ষার্থী সংখ্যা আরও ৪% কমে ১ লাখ ৬২ হাজারে দাঁড়াতে পারে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, জাতীয়ভাবে শিক্ষার্থী সংখ্যা হ্রাসের মূল কারণ কম জন্মহার হলেও লন্ডনে পরিস্থিতি ভিন্ন। রাজধানীতে ক্রমবর্ধমান হারে মানুষ শহর ছাড়ছে, বিদেশে চলে যাচ্ছে বা সন্তানদের প্রাইভেট স্কুলে পাঠাচ্ছে। এর ফলে সরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী সংকট তৈরি হয়েছে।

EPI-র বিশ্লেষণ প্রধান জন অ্যান্ড্রুজ বলেন, শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে গেলে বিদ্যালয়গুলো মারাত্মক আর্থিক চাপে পড়ে এবং দীর্ঘমেয়াদে তা তাদের টিকে থাকার সক্ষমতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে। লন্ডনেই প্রথমে এই সমস্যা প্রকট আকারে দেখা দেয়।

২০১০ সালে জন্মহার সর্বোচ্চে পৌঁছায় এবং ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বড় ব্যাচে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। তখন দ্রুত নতুন স্কুল খোলা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে জন্মহার নাটকীয়ভাবে কমে যাওয়ায় ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ৪.৫ মিলিয়ন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছালেও এরপর থেকে সংখ্যা ক্রমশ কমতে শুরু করেছে।

ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব হেড টিচার্সের মহাসচিব পল হুইটম্যান বলেন, সরকার চাইলে এই সংকটকে সুযোগে পরিণত করতে পারে। তার মতে, ছোট ক্লাস এবং লক্ষ্যভিত্তিক শিক্ষা প্রদান নিশ্চিত করতে স্কুলগুলো সচল রাখা উচিত।

প্রতিবেদনের সহ-লেখক লিলি উইলার বলেন, জন্মহার কমে যাওয়াই একমাত্র কারণ নয়। জীবনযাত্রার ব্যয়, আবাসনের চাপ এবং আঞ্চলিক শিক্ষা ব্যবস্থার ভিন্নতা পরিবারগুলোর সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করছে।

লন্ডন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে প্রাথমিক শিক্ষার্থী সংখ্যা হ্রাসের শীর্ষ ১০ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে ৯টি লন্ডনে অবস্থিত। ইস্লিংটন, ল্যামবেথ ও সাউথওয়ার্কে শিক্ষার্থী সংখ্যা সবচেয়ে দ্রুত কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

EPI-র তথ্য বলছে, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে যারা রিসেপশন ক্লাসে ভর্তি হয়েছিল, তাদের মধ্যে ২০% শিক্ষার্থী ষষ্ঠ বর্ষে পৌঁছানোর আগেই লন্ডনের সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা ছেড়েছে। এর মধ্যে ১০% পুরোপুরি সিস্টেমের বাইরে চলে গেছে, যা ব্রেক্সিট-পরবর্তী অভিবাসন বা কোভিড-পরবর্তী প্রভাবের ফল হতে পারে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, লন্ডনে অনেক পরিবার বিদেশে চলে যাচ্ছে বা সন্তানদের প্রাইভেট স্কুলে পাঠাচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরিবারের সংখ্যা বেশি থাকায় সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শিশু হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও তুলনামূলকভাবে রাজধানীতে বেশি।

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আরো পড়ুন

ব্রেক্সিটের কালো ছায়া যুক্তরাজ্যের ড্যাফোডিল শিল্পে

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাজ্য ‘বিনিয়োগের জন্য দ্বিতীয় সর্বাধিক আকর্ষণীয় দেশঃ জরিপ

যুক্তরাজ্যে মা-বাবা থাকতে পারলেও সন্তানদের ব্রাজিলে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ