যুক্তরাজ্যে ৪ জুলাই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন জনমত জরিপে পিছিয়ে রয়েছে ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি। এতে পিছিয়ে থাকলেও পাত্তা দিচ্ছেন সুনাক। নির্বাচনে হাল তিনি ছাড়ছেন না। সুনাক বলেন, জরিপে পিছিয়ে থাকলেও আমি বিশ্বাস করি, এবারের নির্বাচনে আমিই জিতবো।
রোববার দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুক্রবারের নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন কি না, জানতে চাইলে সুনাক বলেন, ‘হ্যাঁ। আমি কঠিন লড়াই করছি। আমি মনে করি, মানুষ লেবার পার্টির সরকারের বিপদ সম্পর্কে বুঝতে পারছে এবং তারা জেগে উঠছে।’
এবারের নির্বাচনের অধিকাংশ জনমত জরিপে, কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ে লেবার পার্টি ২০ পয়েন্টে এগিয়ে আছে। সর্বশেষ গত শনিবার যুক্তরাজ্যের অবজারভার পত্রিকার করা জরিপেও লেবার পার্টি ৪০ শতাংশ ভোট পাবে বলে দেখানো হয়েছে। সেখানে ঋষি সুনাকের দলের জনপ্রিয়তা এখনো ২০ শতাংশই রয়েছে।
গতকাল যুক্তরাজ্যের সানডে টাইমস পত্রিকা সরাসরি লেবার পার্টিকে তাদের সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছে। পত্রিকায় এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ১৪ বছর কনজারভেটিভ শাসনের পর দেশে একটি আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। এবারে দেশটির অন্যতম প্রধান পত্রিকা ডেইলি মিরর, দ্য গার্ডিয়ান ও দ্য ইকোনমিস্ট লেবার পার্টিকে সমর্থন দিয়েছে। তবে ডেইলি মেইল ও ডেইলি টেলিগ্রাফ কনজারভেটিভদের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে।
এদিকে নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিকে সুনাক তার দলের পক্ষে জনগণকে আশ্বস্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা যাচ্ছেন। তিনি বিবিসির লরা কুয়েনসবার্গকে বলেছেন, ১৪ বছর আগের তুলনায় যুক্তরাজ্যের অবস্থা এখন অনেক ভালো। তিনি বলেন, দেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো করোনা মহামারি এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে হচ্ছে।
পাঁচ সপ্তাহ ধরে লেবার পার্টি ২০ শতাংশ এগিয়ে রয়েছে। তবে কিছুদিন ধরেই কনজারভেটিভ ও লেবার—দুই দলের মধ্যে জনপ্রিয়তায় কিছু ভাটা পড়েছে। ওই তুলনায় লিবারেল ডেমোক্র্যাটস ও রিফর্ম ইউকে পার্টির জনপ্রিয়তা কিছুটা বেড়েছে।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
০২ জুলাই ২০২৪