5.3 C
London
December 23, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশস্পোর্টস

জাপানের সুমাইয়া এখন বাংলাদেশের

বাংলা ভালো বলতে পারলেও লিখতে পারেন না। তবে বাংলা ভাষা বা বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্কটা এখন বেশ নিবিড়। জন্ম ও বেড়ে ওঠা জাপানের নাগোয়া শহরে হলেও মাতসুশিমা সুমাইয়া এখন পুরোদস্তুর বাংলাদেশি।

বাংলাদেশ দলের হয়ে সুমাইয়ার আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে গত পরশু। কমলাপুর স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে তাকে বদলি হিসেবে মাঠে নামান কোচ। তাতেই পূরণ হয়ে যায় সুমাইয়ার একটা স্বপ্ন। ‘ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের হয়ে খেলব। আমার স্বপ্নটা পূরণ হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছি। আমি ভীষণ খুশি,’ কমলাপুর স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে গতকাল বলছিলেন ২৩ বছরে পা দেওয়া সুমাইয়া।

বাংলাদেশের নারী ফুটবলে সুমাইয়াই প্রথম প্রবাসী ফুটবলার, যিনি জাতীয় দলে সুযোগ পেলেন। ছেলেদের ফুটবলের জামাল ভূঁইয়া ও তারিক কাজীর কথা সবাই জানেন। ডেনমার্ক আর ফিনল্যান্ড থেকে এসে এ দুজন বাংলাদেশের জার্সিতে খেলছেন। মেয়েদের জাতীয় দলে এবার যোগ হলেন সুমাইয়া। বাংলাদেশ ও জাপানের দ্বৈত পাসপোর্ট তার। ফলে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে কোনো জটিলতা হয়নি। জাপান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন থেকে অনাপত্তিপত্র নিতে হয়েছে বাফুফেকে, এই যা।

সুমাইয়ার ফুটবল–দক্ষতা বেশ ভালো। ফুটবল নিয়ে নিজের কারিকুরির কিছু ছবি দিয়েছিলেন ফেসবুকে। সেটি দেখে ২০২১ সালে তাকে ডাকে বাফুফে। বাংলাদেশি বাবা ও জাপানি মায়ের সঙ্গে সুমাইয়া তখন ঢাকাতেই থাকতেন। মা মাতসুশিমা তোমোমিকে নিয়ে একদিন আসেন বাফুফে ভবনে। বাফুফে তখন তার কাছে জানতে চেয়েছিল, বাংলাদেশ দলে সুযোগ পেলে খেলবেন কি না। সুমাইয়াও সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়ে দেন, খেলবেন। এরপরই তাকে দলভুক্ত করেছে বসুন্ধরা কিংস। কিংসের জার্সিতে মেয়েদের গত লিগে খেলেছেন সুমাইয়া, গোলও আছে কয়েকটি।

গত বছর মালদ্বীপে দিভেহি সিফাইঙ্গে ক্লাবে সুমাইয়া খেলেছেন সাবিনা খাতুনের সঙ্গে। এ দুটি পর্বের পর বয়সভিত্তিক কোনো স্তরে না খেলেই সরাসরি জাতীয় দলে এসেছেন সুমাইয়া, পেয়েছেন ২০ নম্বর জার্সি। সুমাইয়া এমনিতে ‘নাম্বার ৯’ বা ‘নাম্বার ১০’ পজিশনের খেলোয়াড়। পরশু কোচ তাকে ফরোয়ার্ডেই নামিয়েছেন।

জাতীয় দলে অভিষেক হলেও একটু যেন অতৃপ্ত সুমাইয়া, ‘ম্যাচে ভালো পারফর্ম করতে পারিনি। প্রথমবার খেলতে নামায় একটু নার্ভাস লাগছিল।’ কিছুটা লাজুক সুমাইয়া কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য নন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। তারপরও কমলাপুর স্টেডিয়ামে নারী দলের অনুশীলনের ফাঁকে বললেন, ‘২০০৯-১০ সালের দিকে আমি প্রথম আসি বাংলাদেশে। বাফুফে ভবনে জাতীয় দলের ক্যাম্পে আছি ছয় মাস ধরে। এর আগে বসুন্ধরা কিংসে খেলেছি যখন, বাসা থেকেই অনুশীলনে যেতাম। কিন্তু জাতীয় দলের ক্যাম্প একটু আলাদা। এই অভিজ্ঞতা আমাকে এগিয়ে দিয়েছে।’ সুমাইয়ার প্রিয় খেলোয়াড় সাবিনা।

মেয়েদের দলে আছেন কৃষ্ণা, তহুরা, সানজিদারা। তাদের টপকে সুমাইয়ার পক্ষে একাদশে সুযোগ পাওয়া সহজ নয়। সুমাইয়া বলেন, ‘ওদের অনেক বছরের অভিজ্ঞতা। আমার তো নাগোয়ায় ফুটবল তেমন খেলা হয়নি।

ফুটবল খেলতেই বাংলাদেশে আসি। অনুশীলনে আরও ভালো করতে হবে। ক্যাম্পে আরও থাকতে হবে আমাকে। আমার ইচ্ছা বাংলাদেশকে লম্বা সময় সেবা দেওয়ার।’

এম.কে
১৭ জুলাই ২০২৩

আরো পড়ুন

সিলেটের পর্যটনশিল্পে ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি

অনলাইন ডেস্ক

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে হুঁশিয়ারি ছাত্র-জনতার

হাসনাত-সারজিসের গাড়িবহরের গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কাঃ কী বলছেন সমন্বয়করা গাড়িবহরের গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কাঃ কী বলছেন সমন্বয়করা