14.4 C
London
July 27, 2024
TV3 BANGLA
ইউরোপ

জার্মানির অপরচুনিটি কার্ড নিয়ে জার্মান যাওয়ার সুযোগ

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের দক্ষ কর্মীদের আকৃষ্ট করতে নতুন একটি প্রকল্প চালু করেছে জার্মান সরকার৷ চান্সেনকার্টে বা অপরচুনিটি কার্ড নামের এই প্রকল্পের আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের নাগরিকেরা পয়েন্ট অর্জনের মাধ্যমে জার্মানিতে আসার সুযোগ পাবেন৷

১ জুন থেকে কার্যকর হওয়া এই প্রকল্প দক্ষ বিদেশি কর্মীদের চাকরির কোনো চুক্তিপত্র ছাড়াই জার্মানিতে আসার সুযোগ করে দেবে৷ জার্মানিতে এসে এক বছর থাকার অনুমতি পাবেন তারা৷ এই সময়টিতে নিজের যোগ্যতা অনুুযায়ী চাকরি খোঁজার সুযোগ পাবেন তারা৷

মূলত জার্মান শ্রমবাজারে ক্রমবর্ধমান কর্মী সংকট মোকাবেলায় নতুন এই উদ্যোগটি নিয়েছে সরকার৷ আশা করা হচ্ছে, এর ফলে বিদেশিদের জার্মান শ্রমবাজারে ঢোকা সহজ হবে৷

জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার শনিবার বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত করছি, জার্মানির অর্থনীতিতে বছরের পর বছর ধরে জরুরি কর্মী ও দক্ষ কর্মী প্রয়োজন৷ যোগ্য হলে তারা আমাদের দেশে আসতে পারেন৷’’

শিক্ষাগত, পেশাগত এবং ভাষার দক্ষতাসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে একজন আবেদনকারীকে চান্সেনকার্টে দেবে জার্মান সরকার৷ এজন্য একটি পয়েন্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে৷ চান্সেনকার্টে পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে আবেদনকারীকে অন্তত ছয় পয়েন্ট অর্জন করতে হবে৷

চান্সেনকার্টে পাওয়ার ক্ষেত্রে দুই ধরনের যোগ্যতার কথা বলছে জার্মান সরকার৷

এর একটি হলো: আবেদনকারীর জার্মানিতে স্বীকৃত শিক্ষাগত বা পেশাগত যোগ্যতার বিদেশি সনদ থাকতে হবে৷ অথবা আবেদনকারী যদি জার্মানির কোনো বিশ্বিদ্যালয়ের ডিগ্রি বা পেশাগত যোগ্যতা অর্জন করে থাকেন তাহলেও তিনি চান্সেনকার্টে পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন৷ এমন সনদ থাকলে আবেনকারীকে সরাসরি আবেদন করার কথা বলা হয়েছে৷ এক্ষেত্রে আবেদনকারী জার্মানিতে চাকরি খুঁজে নেওযার জন্য ১৮ মাস সময় পাবেন৷

দ্বিতীয়টি হলো, আবেদনকারীর নিজ দেশে স্বীকৃত ভোকেশনাল বা একাডেমিক ডিগ্রি থাকতে হবে৷ সেই সাথে ভোকেশনাল ডিগ্রিধারীদের দুই বছরের কাজের প্রশিক্ষণ অভিজ্ঞতা থাকতে হবে৷

ভাষাগত যোগ্যতার শর্ত হিসেবে বলা হচ্ছে, আবেদনকারীকে অবশ্যই জার্মান ভাষার এ১ লেভেল অথবা ইংরেজি ভাষার বি২ লেভেলের দক্ষতা থাকতে হবে৷

সরকারের নতুন এই প্রকল্পের বিধি অনুযাযী, শুধু দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীদের বেলায় পয়েন্ট সিস্টেম গণনার প্রযোজন হবে৷ এর জন্য প্রয়োজনীয়-

শিক্ষাগত যোগ্যতা: আবেদনকারীর যোগ্যতা যদি আংশিকভাবে জার্মান স্ট্যান্ডার্ডের সমতুল্য হয় তাহলে তাকে চার পয়েন্ট দেয়া হবে৷ আবেনকারীর যোগ্যতা যদি জার্মান সরকারের ঘাটতি বলে স্বীকৃত পেশার হয়ে তাহলে আবেদনকারীকে ২ পয়েন্ট দেয়া হবে৷

পেশাগত যোগ্যতা: শিক্ষাগত যোগ্যতার সাথে মিল রেখে পেশাগত যোগ্যতার জন্যও পয়েন্ট পাবেন আবেদনকারীরা৷ সেক্ষেত্রে সর্বশেষ পাঁচ বছরের মধ্যে দুই বছরের পেশাগত যোগ্যতার জন্য ২ পয়েন্ট এবং সর্বশেষ সাত বছরের মধ্যে পাঁচ বছরের পেশাগত যোগ্যতার জন্য ৩ পয়েন্ট দেয়া হবে৷

ভাষা: জার্মান ভাষায় এ২ লেভেলের দক্ষতার জন্য থাকছে ১ পয়েন্ট, বি১ লেভেলের দক্ষতার জন্য ২ পয়েন্ট এবং বি২ লেভেলের দক্ষতার জন্য থাকছে ৩ পয়েন্ট৷ তাছাড়া সি১ লেভেলের ইংরেজি ভাষার দক্ষতার জন্য বা ইংরেজি যাদের মাতৃভাষা তাদেরকে একটি অতিরিক্ত পয়েন্ট দেয়া হবে৷

বয়স: যাদের বয়স ৩৫ বছরের বেশি নয়, তারা পাবেন ২ পয়েন্ট৷ আর ৩৫ থেকে ৪০ বছরের আবেদনকারীদের জন্য রয়েছে এক পয়েন্ট৷

জার্মানিতে থাকার অভিজ্ঞতা: সর্বশেষ পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে যদি আবেদনকারী টানা ছয় মাস জার্মানিতে বৈধভাবে অবস্থান করে থাকেন, তাহলে এর জন্য তাকে এক পয়েন্ট দেয়া হবে৷ তবে পর্যটক হিসেবে জার্মানিতে অবস্থান করে থাকলে তা গণনা করা হবে না৷ জার্মানিতে অবস্থানের প্রমাণপত্র হিসেবে আবেদনের সময় পাসপোর্ট এবং ভিসার কপি জমা দিতে হবে৷

সবশেষে আবেদনকারীর সঙ্গীর (স্ত্রী বা জীবনসঙ্গী) কথা বলা হয়েছে৷ আবেদনকারীর সঙ্গী যদি উপরোক্ত যোগ্যতা পূরণ করে থাকেন তাহলে এর জন্য এক পয়েন্ট দেয়া হবে৷

সূত্রঃ মেক ইট ইন জার্মানি

এম.কে
০৫ জুন ২০২৪

আরো পড়ুন

লিথুয়ানিয়া যেতে চান, যেভাবে আবেদন করবেন ভিসার জন্য

বড়দিনের ছুটিতে ইতালিতে কড়া লকডাউন

জার্মানিতে বাতিল হওয়া এক তৃতীয়াংশ অ্যাসাইলাম আবেদন আদালতে সফল