4.4 C
London
December 23, 2024
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

জার্মানীতে আশ্রয় আবেদন বাতিল হলে করণীয়

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে আশ্রয় দিয়ে আসছে জার্মানি৷ দেশটির অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক কেন্দ্রীয় দপ্তর (বিএএমএফ) জানিয়েছে, গেল বছর দুই লাখ ৪৪ হাজার ১৩২টি আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছে৷

এতো আবেদন জমা পড়লেও সবার আবেদন গ্রহণ হচ্ছে না৷ জার্মান সরকারের তথ্য বলছে, প্রায় ২৮ শতাংশ আশ্রয় আবেদন বাতিল হয়েছে৷ আশ্রয় আবেদন যদি প্রত্যাখান করা হয়, তাহলে করণীয় কী—তা তুলে ধরেছে ইউরোপ ভিত্তিক একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে ;

 

 

 

 

আবেদন প্রত্যাখ্যানের ধরন;

আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখানের সিদ্ধান্ত দুই ধরনের হয়ে থাকে৷

সরাসরি প্রত্যাখান: ৩০ দিনের মধ্যে দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়৷

ভিত্তিহীন: এক্ষেত্রে সাত দিনের মধ্যে দেশ ছাড়তে হয়৷

দুই ক্ষেত্রেই আপিল করার সুযোগ রয়েছে৷ তবে আশ্রয় আবেদনের লিখিত নোটিশের সঙ্গে আপিলের নোটিশ থাকতে হবে৷।

যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব আপিল করে ফেলা জরুরি৷ কারণ আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখানের পর আশ্রয়প্রার্থীকে নোটিশ দেয়া হয়, তখন থেকে তার দেশে ফিরে যাওয়ার সময় গণনা শুরু হয়৷ তাই চিঠি পাওয়া মাত্র দেরি করার সুযোগ নেই৷

একজন আশ্রয়প্রার্থীর আবেদনটি সরাসরি প্রত্যাখান করা হতে পারে, যদি-

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য কোনো দেশ তার আশ্রয় আবেদন মঞ্জুর করে৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে কোনো দেশে যদি শরণার্থীর মর্যাদা বা সুরক্ষা পেয়ে থাকেন এবং সেই দেশ যদি তাকে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে তৃতীয় কোনো দেশ যদি ওই ব্যক্তির জন্য নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়৷

 

 

 

 

অন্য দিকে, আবেদনটি ‘ভিত্তিহীন’ হিসেবেও বাতিল হতে পার, যদি আশ্রয়প্রার্থী অর্থনৈতিক কারণে বা সাধারণ জরুরি পরিস্থিতি এড়াতে জার্মানিতে থেকে যেতে চান এবং তার দেয়া তথ্যে কোনো ধরনের অসামঞ্জস্যতা থাকে৷

আরো যেসব কারণে আবেদন বাতিল ‘ভিত্তিহীন’ হিসেবে বাতিল হতে পারে:

আশ্রয়প্রার্থীর দেয়া তথ্য যদি প্রমাণিত না হয়, বিতর্কিত হয় কিংবা সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়৷ এগুলোর মধ্যে রয়েছে জাল কাজগপত্র৷

আশ্রয়প্রার্থী নিজের পরিচয় এবং জাতীয়তাকে যদি ভুলভাবে উপস্থাপন করে কিংবা অস্বীকার করে৷

ভিন্ন তথ্য দিয়ে একই আশ্রয়প্রার্থী যদি একাধিক আবেদন করেন৷

আগেই আশ্রয় আবেদন করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও শুধু রেসিডেন্স পারমিট বা বসবাসের অনুমতি বাতিল হওয়ার আশঙ্কায় যদি কোনো ব্যক্তি আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেন৷

নিজের দেয়া তথ্যের সত্যতা যাচাই বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আশ্রয়প্রার্থী যদি কর্তৃপক্ষকে যথাযথ সহযোগিতা না করে৷

বসবাসের অনুমতি বিষয়ক আইনের শর্ত অনুযায়ী আশ্রয়প্রার্থীকে আইনিভাবে বহিষ্কার করা যেতে পারে৷

করণীয় কী?

 

 

 

 

অভিযোগ দায়ের: প্রশাসনিক আদালতে হাজির হয়ে লিখিত বা মৌখিকভাবে অভিযোগ দায়ের করা৷

তাছাড়া পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলা কিংবা স্বাস্থ্যগত কারণে ভ্রমণ করতে না পারলে তখন ‘ডুলডুং’ বা বিশেষ বিবেচনায় থাকার অনুমতির আবেদন করার সুযোগ থাকে৷ সাধারণত নির্দিষ্ট দিন, সপ্তাহ বা মাসের জন্য এটি দেয়া হয়৷ ডুলডুংয়ের আওতায় জার্মানিতে অস্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাওয়া গেলেও দেশের ফিরে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়ে যাবে৷

এছাড়া কোনো আশ্রয়প্রার্থী যদি জার্মান সমাজে ভালোভাবে একীভূত হতে পারেন এবং নিজ দেশে ফেরত গেলে বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কায় থাকেন, তখন জার্মানিতে বসবাসের অনুমতি চাওয়ার সুযোগ করে দেবে হার্ডশিপ রেগুলেশনস বা হ্যার্টেফালরেগেলুং৷

 

 

 

 

এক্ষেত্রে, আশ্রয়প্রার্থীকে জার্মান ভাষা দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে এবং জার্মানির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পড়াশোনা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণ, চাকরি বা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে৷

আশ্রয়প্রার্থীর আবেদনটি হার্ডশিপ কমিশনে পাঠানোর যোগ্য কিনা তা যাচাই করবে, তিনি জার্মানির যে রাজ্যে থাকেন, সেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ জার্মানির প্রতিটি রাজ্যে হার্ডশিপ কমিশন রয়েছে৷ যারা আশ্রয়প্রার্থীর আবেদনটি মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন৷ basewissen.asyl.net ওয়েবসাইটে হার্ডশিপ কমিশনের লিঙ্ক পাওয়া যাবে বলে জানায় জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এম.কে
০৫ জুন ২০২৩

আরো পড়ুন

ইব্রাহিম রাইসি মারা গেলে কে হবেন ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট

ডাইনি সন্দেহে আসামে পুড়িয়ে মারা হলো নারীকে

১৯৫০ সালের পর প্রথমবারের মতো অবসর গ্রহণের বয়সসীমা বাড়ালো চীন