জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হচ্ছে না, যুক্তরাজ্যের একটি আদালত সোমবার (৪ জানুয়ারি) এই রায় দিয়েছেন।
২০১০ সালের জুলাইয়ে উইকিলিকস আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের প্রায় ৭০ হাজার শ্রেণিবদ্ধ নথি প্রকাশ করে। এসব তথ্য পরে বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের এপ্রিলে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর। ওইদিনই তাকে জামিনের শর্ত ভঙ্গের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেন ব্রিটিশ আদালত। তখন থেকে বেলমার্শ নামক কুখ্যাত কারাগারে সাজা ভোগ করছেন তিনি।
অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গুপ্তচর আইন লঙ্ঘন ও সরকারি কম্পিউটারে হ্যাকিংসহ ১৮টি অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। দোষ প্রমাণিত হলে তাকে কয়েক দশক কারাগারে কাটাতে হতে পারে।
ব্রিটিশ বিচারক অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। ডিস্ট্রিক্ট জাজ ভ্যানেসা বারাইতজার রায়ে বলেছেন, মার্কিন প্রসিকিউটররা অ্যাসাঞ্জের প্রত্যর্পণের প্রয়োজনীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন কিন্তু তার আত্মহত্যার চেষ্টা ঠেকানোর সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
বিচারক আরও জানান, অ্যাসাঞ্জের নিজের ক্ষতিসাধন এবং আত্মহত্যার ভাবনা রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। হতাশার এবং অনেক সময় বেপরোয়া মানুষ নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভীত থাকেন। তিনি আরো বলেন, অ্যাসাঞ্জ আত্মহত্যার চেষ্টা করলে যুক্তরাষ্ট্র তা ঠেকাবে না বলে বিচারে উঠে এসেছে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি মানসিক ক্ষতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাসাঞ্জকে পাঠানো হবে নিপীড়নমূলক।
অ্যাসাঞ্জকে বিচারের মুখোমুখি করতে যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই তাকে হস্তান্তরের জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছে। লন্ডনের আদালতের দেওয়া এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে যুক্তরাষ্ট্র।
৪ জানুয়ারি ২০২১
এসএফ