13.5 C
London
July 27, 2024
TV3 BANGLA
Uncategorized

টাকা ও মোবাইলের স্ক্রিনে ২৮ দিন পর্যন্ত টিকে থাকে করোনা ভাইরাস


টিভিথ্রি ডেস্ক: করোনাভাইরাস ২৮ দিন পর্যন্ত ব্যাংক নোট, মোবাইল ফোনের স্ক্রিন এবং স্টেইনলেস স্টিলের মতো স্থানে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল সায়েন্স এজেন্সির এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য।

সোমবার (১২ অক্টোবর) বিবিসির খবরে বলা হয়, গবেষকরা পরীক্ষা চালিয়ে দেখেন এসব পৃষ্ঠে সার্স-কোভ-২ আগের ধারণার চাইতেও অনেক বেশি সময় বেঁচে থাকতে পারে। পরীক্ষাটি চালানো হয় অন্ধকারে। এর আগের গবেষণায় জানা গেছে, ইউভি লাইট (আল্ট্রা ভায়োলেট) দিয়ে এই ভাইরাস নির্মূল করা সম্ভব।

করোনাভাইরাস বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লোকজনের কাশি, হাঁচি বা আলাপ করার মাধ্যমে সংক্রমণের কথা বলা হলেও মানুষের ব্যবহৃত বিভিন্ন বস্তু থেকে ভাইরাসটি ছড়ানোর বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকরা।

পূর্ববর্তী ল্যাব পরীক্ষায় দেখা গেছে, সার্স-কোভ-২ টাকা এবং গ্লাসে দুই থেকে তিন দিন এবং প্লাস্টিক এবং স্টেইনলেস স্টিলে ছয় দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।

তবে অস্ট্রেলিয়ান সংস্থা সিএসআইআরও-এর গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে থাকা গ্লাস, প্লাস্টিক এবং কাগজের নোটের মতো মসৃণ পৃষ্ঠে এই ভাইরাস ২৮ দিন পর্যন্ত থাকে। এসব পৃষ্ঠে ২০ সেলসিয়াস বা ৬৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় অর্থাৎ ঘরের তাপমাত্রায় এবং অন্ধকারেও ভাইরাসটি অত্যন্ত শক্তিশালী থাকে। আবার একই পৃষ্ঠে ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভাইরাসটি ২৪ ঘণ্টার বেশি টিকতে পারে না এটি।

গবেষকদের মতে, এটি কাপড়ের মতো ছিদ্রযুক্ত উপাদানের চেয়ে মসৃণ পৃষ্ঠের ওপর দীর্ঘকাল অবস্থান করতে পারে। এদিকে কাপড়ে কোনো সংক্রামক ভাইরাস এতদিন থাকে না।

অন্যদিকে, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন ১৪৭২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন । সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫৫৫ জনে এবং মোট শনাক্ত হওয়া করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭৯,৭৩৮ জনে। এতে বলা হয় এ যাবত ২৯৪,৩৯১ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন।

১২ অক্টোবর ২০২০
এনএইচ

আরো পড়ুন

Covid-19 – Property, mortgage, rent advice বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জানুন

পাকিস্তানকে হারিয়ে টেস্টে দারুণ জয় ইংল্যান্ডের

অনলাইন ডেস্ক

‘The Coronavirus Job Retention Scheme’ করোনাভাইরাস চাকরি রক্ষা প্রকল্প।