সময় আছে মাত্র ২৪ ঘণ্টা প্রচার-প্রচারণার জন্য। ৩ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কে হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি জো বাইডেন? রিপাবলিকান, নাকি এবার জিতবে ডেমোক্র্যাট? এই প্রশ্ন শুধু আমেরিকায়ই নয়, গোটা বিশ্বের মনেই।উত্তর মিলবে একদিন পরেই।
ঐতিহাসিক ব্যাপার হলো মার্কিনিরা কখনো কোনো মহামারির মধ্যে নির্বাচন করেনি। কিন্তু ২০২০ সালের নির্বাচন করোনা মহামারীর মধ্যেই হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে এখন করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা চলছে, আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা লাগামছাড়া হয়ে গেছে। ভোটের জনসভা, বিতর্কসভা এবং অন্যান্য জমায়েতের কারণে করোনার সংক্রমণ আরও বাড়বে কিনা, তা নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা।
বিবিসির সমীক্ষা বলছে জনমত জরিপে জো বাইডেন সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন । জাতীয় পর্যায়ে টেলিভিশনে প্রচারিত হওয়া প্রেসিডেন্সিয়াল বির্তকের পর একটি জনমত জরিপ করা হয়, সেখানে জো বাইডেন এগিয়ে আছেন বলে জানানো হয়। কিন্তু সেটাই শেষ কথা নয়। ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে বা ‘আসন সংখ্যা’ যিনি বেশি জিতবেন শেষ মুহূর্তে তাঁরই জয় হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সময় অনুযায়ী ৩ নভেম্বর এই পপুলার ভোটের হিসেব কষা হবে। পরে ইলেক্টোরাল কলেজের জয়ীরা নির্বাচিত করবেন রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতিকে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী চার বছরের জন্য নির্বাচিত হন রাষ্ট্রপতি। তবে দু’বারের বেশি কেউ প্রার্থী হতে পারেন না ভোটে। সেই হিসেবে বারাক ওবামা, জর্জ বুশ কিংবা বিল ক্লিন্টন কেউই আর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই আইন করা হয়েছে। ওয়াশিংটন দু’বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তৃতীয় বার নিজে থেকেই আর প্রার্থী হননি।
২ নভেম্বর ২০২০
এসএফ