হন্ডুরাসের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ডব্লিউএমপি ও ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সাফল্যের জন্য একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রায় ৬০ শতাংশ কীটপতঙ্গে প্রাকৃতিকভাবেই উলবাকিয়া ব্যাকটেরিয়া থাকে। তবে এডিস মশায় এই ব্যাকটেরিয়া নেই। প্রায় ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ডব্লিউএমপি কীটপতঙ্গ থেকে উলবাকিয়া সংগ্রহ করে এডিস মশার ডিমে প্রবেশ করাচ্ছে। এই ব্যাকটেরিয়া ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করে। কোনো মশায় ডেঙ্গুর ভাইরাস থাকলেও উলবাকিয়ার কারণে তা আর ছড়াতে পারে না।
প্রায় ১০ বছর আগে উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম উলবাকিয়া মশা ছাড়া হয়েছিল। এরপর তারা ওই এলাকাকে ‘ডেঙ্গুমুক্ত’ ঘোষণা করে। আর ইন্দোনেশিয়ায় উলবাকিয়া মশা ছাড়ার পর ডেঙ্গু সংক্রমণ ৭৭ শতাংশ কমে গেছে। ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের কর্মকর্তারা এই মশাকে ‘নিরাপদ মশা’ আখ্যা দিয়েছেন। এই মশা কামড় দেয় কিন্তু এতে কোনো জ্বর-ব্যথা নেই, এমনকি হাসপাতালে যাওয়ারও কোনো দরকার নেই।
এ পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপে স্থানীয়ভাবে উলবাকিয়া মশার বংশ বৃদ্ধি করানো হবে। ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের লজিস্টিকস ম্যানেজার স্টাভরোস ডিমোপলাস বলেন, এর জন্য দুটি পদ্ধতি রয়েছে। যদি স্ত্রী মশায় উলবাকিয়া ব্যাকটেরিয়া থাকে ও পুরুষ মশায় না থাকে, তাহলে স্ত্রী মশা ওই পুরুষ মশার সঙ্গে মিলিত হলে যেসব বাচ্চা হবে, সেগুলো হবে উলবাকিয়াযুক্ত। আর উলবাকিয়াযুক্ত পুরুষ ও স্ত্রী মশা যদি মিলিত হয়, তাহলেও সব বাচ্চা হবে উলবাকিয়াযুক্ত। ফলে কিছু সময় পর প্রকৃতির সব এডিস মশা উলবাকিয়ায় পরিপূর্ণ হয়ে যাবে; অর্থাৎ তাদের ডেঙ্গু ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বন্ধ হয়ে যাবে বা একদমই কমে যাবে।
আবার পুরুষ মশা উলবাকিয়াযুক্ত হলে এবং স্ত্রী মশায় উলবাকিয়া না থাকলে তাদের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে না অথবা বাচ্চা হলেও সেগুলো বড় হওয়ার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী হয় না।
এম.কে
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩