TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

তলবাদেশে হাজির হয়ে ট্রাইব্যুনালে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জেডআই খান পান্না

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে র‌্যাবের টিএফআই সেলে বিরোধী মতাদর্শের লোকদের গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া জেডআই খান পান্না হাজির না হওয়ায় তাকে তলব করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।

 

এদিন প্রথমেই প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। শুনানির এক পর্যায়ে স্টেট ডিফেন্সের আইনজীবী জেডআই খান পান্নাকে ফোন করে আসতে বলেন ট্রাইব্যুনাল। ঠিক ১০ মিনিট পরই হুইলচেয়ারে করে অন্য আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজির হন আইনজীবী পান্না।

এ সময় প্রসিকিউশনের শুনানি থামিয়ে আইনজীবী পান্নার বক্তব্য শুনতে চান ট্রাইব্যুনাল।

সুস্থ আছেন কিনা জানতে চেয়ে তার উদ্দেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনি শেখ হাসিনার পক্ষে নিয়োগ পেয়েছেন। আপনি আসেননি কেন? আপনার অনুপস্থিতিতে শুনানি করতে হয়েছে। চাইলে আবার হবে।

জবাবে জেডআই খান পান্না বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তবে এ মামলায় না দাঁড়ানোর জন্য আমি রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।

তখন ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনার ক্লায়েন্ট হাজির হবেন না। আপনিও আসবেন না। আপনি নিজেই আগ্রহ দেখিয়েছেন আইনজীবী হওয়ার জন্য। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অর্ডার দিয়েছি। আপনি না করতে চাইলে ট্রাইব্যুনালে এসে বলতে হবে। এছাড়া আপনি এক ভিডিও বার্তায় ট্রাইব্যুনাল নিয়ে মন্তব্য করেছেন যে, আপনার ক্লায়েন্ট এই আদালত মানেন না। এ জন্য আপনিও মানেন না। এটা কী আপনি বলতে পারেন?

জেডআই খান পান্না বলেন, আমি আনকনডিশনালি অ্যাপোলজি (নিঃশর্ত ক্ষমা) চাই।

পরে এ মামলায় তিনি লড়বেন কিনা তা পুনরায় জানতে চান ট্রাইব্যুনাল। তখনও ‘না’ জবাব দেন তিনি।

এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, আমরা আশা করবো, আপনার কাছ থেকে সহায়তা পাবো। একইসঙ্গে তার বদলে কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে পরামর্শ চান ট্রাইব্যুনাল। তবে কারও নাম না বলায় মো. আমির হোসেনকে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। যিনি এর আগেও শেখ হাসিনার পক্ষে আইনি লড়াই করেছেন।

গত ২৩ নভেম্বর এ মামলার অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। ওই দিন অভিযুক্ত শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়ানোর আবেদন করেন জেডআই খান পান্না। পরে তাকে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

কিন্তু গত ২৭ নভেম্বর আস্থা নেই জানিয়ে শেখ হাসিনার মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে ফেসবুক লাইভে জানিয়ে দেন আইনজীবী জেডআই খান পান্না।

সূত্রঃ যুগান্তর

এম.কে

আরো পড়ুন

দেশে সংখ্যালঘুরা ভালো আছে, ভারত মিথ্যাচার করছেঃ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট

চুরি যাওয়া অর্থ ফেরাতে বিশ্বনেতাদের সহায়তা চাইলেন ড. ইউনূস

ফ্যাসিস্টরা সাড়ে ৪ হাজার মানুষ হত্যা করেছেঃঅ্যাটর্নি জেনারেল