সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে গত তিন মাসে যুক্তরাজ্যের বেকারত্বের হার বেড়েছে পাঁচ শতাংশ।
যুক্তরাজ্যে জাতীয় লকডাউন দেয়া হয়েছে, স্কটল্যান্ডের কিছু অংশে করোনার কারণে কড়া বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। এসব কারণে জাতীয় পরিসংখ্যান জানিয়েছে, প্রায় ৮,২৮,০০০ কর্মী ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের চাকরি হারিয়েছেন। অনেক কম্পানি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
গ্রীষ্মে এবং শীতের শুরুর থেকে বেকারত্ব বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। নিয়োগকর্তারা সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক লোককে ছাটাই করেছেন। উত্তর-পূর্ব স্কটল্যান্ডের পরে লন্ডনে কর্মসংস্থানের সবচেয়ে কম।
অনুমান করা হয়েছে যে তিন মাসের মধ্যে বেকারত্ব ৬.৯ শতাংশ বেড়ে গেছে লন্ডনে। বিশেষ করে রাজধানীর আতিথেয়তা, পর্যটন এবং অবসর কম্পানিগুলো মহামারিতে খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
প্যানথিয়নের প্রধান ইউকে অর্থনীতিবিদ স্যামুয়েল টমবস বলেছেন, এপ্রিলের শেষে ‘ফার্লো স্কিম’ বা মহামারিতে দেয়া সরকারের অনুদান বন্ধ হয়ে যাবে কিনা তা এখনো জানা যায়নি। জনগণকে অন্ধকারে না রেখে সরকারের উচিৎ এই অনুদানের সময় আরো বাড়ানো। এটি বন্ধ হয়ে গেলে বেকারত্বের হার আরো বাড়বে।
আইওডির প্রধান অর্থনীতিবিদ তেজ পরীখ বলেন, সাম্প্রতিক লকডাউনটি অনেক সংস্থাকে আরো চাপের মুখে ফেলেছে। যার অর্থ আগামী মাসে আরো মানুষ কাজ হারাতে পারে।
সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট
২৬ জানুয়ারি ২০২১
এসএফ