প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় যুক্ত হলো আরও একটি নতুন অধ্যায়। এবার তৈরি হলো চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক ভাষাগত সহায়ক টুল ‘নেক্সট’, যা পুরোপুরি সিলেটি ভাষায় কথা বলতে ও বুঝতে সক্ষম। ভাষাগত বৈচিত্র্য রক্ষার এই উদ্যোগকে প্রযুক্তি ও সংস্কৃতির সংযোগস্থলে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নতুন এই এআই চ্যাটবট ‘নেক্সট’ শুধু সিলেটি ভাষায় প্রশ্নোত্তর করতে পারে না, বরং সিলেটি সমাজ-সংস্কৃতি, ইতিহাস, প্রবাদ, এবং কথ্য রীতিনীতির সঙ্গেও পরিচিত। এর ফলে প্রবাসী সিলেটিদের পাশাপাশি স্থানীয় সিলেটি ভাষাভাষীরাও সহজে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুবিধা নিতে পারবেন।
নেক্সট-এর পেছনে কাজ করেছেন একদল তরুণ ডেভেলপার ও ভাষাবিদ, যারা দীর্ঘদিন ধরে সিলেটি ভাষার সংরক্ষণ ও প্রযুক্তিতে এর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কাজ করে আসছেন। তাদের দাবি, এটি শুধু একটি চ্যাটবট নয়, বরং এটি সিলেটি ভাষাকে ডিজিটাল যুগে টিকিয়ে রাখার একটি মাধ্যম।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ‘নেক্সট’-এর লক্ষ্য শুধুমাত্র ভাষা বুঝতে পারা নয়, বরং সিলেটি ভাষাকে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তুলে ধরা, যাতে ভবিষ্যতে আরও এআই অ্যাপ্লিকেশন এই ভাষায় তৈরি করা যায়। বর্তমানে এই চ্যাটবট টেক্সটভিত্তিক হলেও ভবিষ্যতে ভয়েস ইন্টারঅ্যাকশন চালু করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ‘নেক্সট’। অনেকেই এটি ব্যবহার করে নিজেদের ভাষায় কথা বলার আনন্দ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে প্রবাসী সিলেটিরা মনে করছেন, এটি তাদের সন্তানদের মাতৃভাষা শেখার জন্যও একটি কার্যকর টুল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘নেক্সট’ কেবল প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন নয়, বরং এটি ভাষাগত অধিকার ও সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয়ের এক শক্তিশালী প্রকাশ।
এম.কে
০৩ জুন ২০২৫