সেনাবাহিনীতে দাড়ি রাখার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাজ্য। এখন থেকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কোনো সেনা কিংবা কোনো কর্মকর্তা চাইলেই দাড়ি রাখতে পারবেন। তবে ওই দাড়ি ও গোঁফ কেউ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সুবিন্যস্ত রাখছে কি-না, সেই বিষয়ে নিয়মিত নজরদারি করা হবে।
শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীগুলোর মধ্যে সেনাবাহিনীই সবার পরে দাড়ি রাখার অনুমতি দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে টানা কয়েক বছর আলোচনার পর নতুন নির্দেশ জারি করা হয়েছে। কয়েক মাস ধরে নীতি পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ বাহিনীর এক মুখপাত্র। পর্যালোচনার ফলাফল পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি সেনাদের মতামতের ভিত্তিতে নীতিটি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেনা নেতৃত্ব।
তবে কিছু নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানে সেনা এবং কর্মকর্তাদের শেভ করারও প্রয়োজন হতে পারে। এসব পরিস্থিতিতে তাদের শেভ করার নির্দেশ দেওয়া হবে।
নীতিটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্রিটিশ সেনা নেতৃত্ব আশা করছে, এর মাধ্যমে তারা নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে, বিগত দশকগুলোর তুলনায় যারা আজকাল মুখে দাড়ি-গোঁফ রাখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
বিবিসি জানিয়েছে—এর আগে ডেনমার্ক, জার্মানি এবং বেলজিয়ামের মতো বেশ কয়েকটি দেশের সেনাবাহিনী সৈন্যদের দাড়ি রাখার অনুমতি দিয়েছে।
নতুন নীতি ঘোষণার আগে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী শিখ, মুসলিম এবং রাস্তাফারিয়ানদের মতো কয়েকটি নির্দিষ্ট ধর্মের সেনাদের দাড়ি রাখার অনুমতি দিয়েছিল। যদি তাদের কার্যকারিতা, স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে না—কেবল তবেই দাড়ি রাখার অনুমতি ছিল।
দ্য টাইমস জানিয়েছে, ব্রিটিশ বাহিনীর সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ নন-কমিশন ওয়ারেন্ট অফিসার পল কার্নি চার মিনিটের এক ভিডিও বার্তায় সৈন্যদের কাছে নতুন নীতিটি ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘সিজিএস আপনাদের মতামত বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমাদের অফিসার ও সৈন্যদের দাড়ি রাখার অনুমতি দেওয়া হলে চেহারায় পরিবর্তন আসবে।’
এর আগে গত বছর যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন—‘সেনাবাহিনীতে দাড়ি নিষিদ্ধ করা হাস্যকর।’
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
৩০ মার্চ ২০২৪