দেশের বাইরে বসে হেফাজতে ইসলাম এবং সংগঠনটির নেতাদের পক্ষ নিয়ে গুজব রটনাকারীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। ইন্টারপোলের সহায়তায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার সব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তৈরি হচ্ছে অপপ্রচারকারীদের তালিকা।
তাছাড়া দেশের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসত্য তথ্য ছড়িয়ে যারা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা চেষ্টা চালাচ্ছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
পুলিশকে বরাত দিয়ে রোববার (৯ মে) এ তথ্য জানায় সময় সংবাদ।
এরই মধ্যে ওলামা দলের এক নেতার করা ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। লন্ডনে বসে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্যদাতা এ ব্যক্তির নাম মাহমুদুল হাসান শামীম। তিনি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। অনলাইনে গুজব ছড়ানোর দায়ে রমনা থানায় তার নামে এরই মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাও হয়েছে।
পুলিশ বলছে, হেফাজতের তাণ্ডবে দেশের পাশাপাশি বাইরে থেকেও এসেছে উসকানি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে গুজব। প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিটিবি শাখার মাধ্যমে সহায়তা নেয়া হচ্ছে ইন্টারপোলের।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কেএম হাফিজ আক্তার বলেন, দেশের বাইরে যারা গুজব ছড়াচ্ছে, মামুনুল হক ইস্যুকে কেন্দ্র করে গুজব ছড়াচ্ছে সাইবারে এরই মধ্যে আমাদের পক্ষ থেকে ইমেগ্রেশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাইরে থেকে যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
গুজব রটানোর পাশাপাশি তাণ্ডব সফল করতে দেশের বাইরের অর্থের জোগানদাতাদেরও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, তাদের আর্থিক বিষয়টি নিয়ে অনেক সংস্থার সঙ্গে আমরা এক হয়ে কাজ করছি। আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক, সিআইডি ও দুদকসহ সবাই কাজ করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে দেশে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েকজনকে।
৯ মে ২০২১
নিউজ ডেস্ক