6.3 C
London
December 23, 2024
TV3 BANGLA
আরো

নববর্ষে আতশবাজিতে আক্রান্ত হয় লাখ লাখ পাখিঃ গবেষণা

আতশবাজির বিকট শব্দ ও এর উজ্জ্বল আলোর কারণে পাখিরা আতঙ্কিত হয়। তাই বছরের অন্যান্য রাতের তুলনায় নববর্ষের রাতে পাখিদের বাসস্থান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার সম্ভাবনা এক হাজার গুণ বেশি।

নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে মানুষের উৎসব-উদ্দীপনার শেষ নেই। আগের দিন সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় এই উদযাপন। আর এই উদযাপনের অন্যতম একটি অংশ আতশবাজি। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে আতশবাজি ফোটানো। তবে গবেষকরা বলছেন, আতশবাজি ফোটানো মানুষের কাছে আনন্দের হলেও বিভিন্ন প্রাণি বিশেষ করে পাখির জন্য এটি বড় একটি আতঙ্কের কারণ।

গবেষণাটি ফ্রন্টিয়ারস ইন ইকোলজি অ্যান্ড দি এনভায়রনমেন্ট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আতশবাজির বিকট শব্দ ও এর উজ্জ্বল আলোর কারণে পাখিরা আতঙ্কিত হয়।

মার্কিন গণমাধ্যম স্যালন এ প্রতিবেদনটির শুরুতেই প্রশ্ন রেখেছে- ‘আতশবাজি ফোটানো ছাড়া নববর্ষ উদযাপনের কি আর অন্য কোনো উপায় নেই?’

নেদারল্যান্ডসের একদল গবেষক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের রাডার এবং পাখির সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে গবেষণাটি চালিয়েছেন। তারা আতশবাজি ফোটানো এলাকাগুলোর সাথে নীরব বা শান্ত এলাকায় পাখিগুলোর গতিবিধি নিয়ে গবেষণা করেন। এতে তারা দেখতে পান, আতশবাজির শব্দ পাখিদের ওপর এক ধরনের বিরূপ প্রভাব ফেলে, যা কয়েকদিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

এছাড়াও আতশবাজির শব্দের কারণে পাখিদের মধ্যে বাসস্থান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়ে। ফলে খাবারের সন্ধানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরির পাশাপাশি পাখিদের স্বাভাবিক জীবনযাপন বিঘ্নিত হয়।

গবেষণাটির লেখক ও আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদ বার্ত হুকস্ত্রা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘উড়ার জন্য পাখির অনেক শক্তি ব্যয় হয়। তাই শীতের সময়টাতে পাখিদের যতটা সম্ভব কম বিরক্ত করা উচিত।’

গবেষণাটির সহ-লেখকরা বলেন, ‘আতশবাজিমুক্ত বিস্তৃত এলাকা প্রতিষ্ঠা কিংবা আতশবাজি ফোটালেও সেটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার মাধ্যমে পাখিদের উপর এই নেতিবাচক প্রভাব আটকানো যেতে পারে।’

এম.কে
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

 

আরো পড়ুন

দাউদ ইব্রাহিমের ‘মৃত্যুর’ খবর নিয়ে হইচই

ইউটিউবে ভিউর জন্য বিমান বিধ্বস্ত করে জেলে গেলেন মার্কিন নাগরিক

ভূমধ্যসাগরে ৬০ অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু