চলতি বছরে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১৬৩টি দেশের ১৫ হাজার ৪৪৪টি দলের মধ্যে সেরা ৪০ গ্লোবাল ফাইনালিস্টের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের ‘টিম ইকোরেঞ্জার্স’।
চলতি বছর ১১তম প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বের উদ্যোক্তা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।
বাংলাদেশের আরও দুটি দল ‘টিম আরবান অটোপিয়ানস’ ও ‘টিম জিওউইজার্ডস’ গ্লোবাল অনারেবল মেনশন ক্যাটেগরিতে নির্বাচিত শীর্ষ ১৯টি দলের মধ্যে বিশেষ স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
চলতি বছর ১৬৩টি দেশ থেকে ৩০টি ক্যাটেগরিতে বয়স, পটভূমি, আগ্রহ ও দক্ষতার ভিত্তিতে অংশগ্রহণ করেন, যা এখন পর্যন্ত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের সবচেয়ে বড় আয়োজন। নাসার মহাকাশ গবেষকরা তাদের প্রজেক্ট বিচার-বিশ্লেষণ ও যাচাই-বাছাই করে জানুয়ারি-২০২৫ পর্বের চূড়ান্ত বিজয়ী নির্ধারণ করবেন।
সভাপতি (বেসিস) এম রাশিদুল হাসান বলেন, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে সবকটি দলের সাফল্য বাংলাদেশিদের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যে সম্ভাবনা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি করেছে, তা প্রমাণ করে। সাফল্য প্রমাণ করে আমাদের তরুণ প্রজন্ম সঠিক দিকনির্দেশনা, নিরলস পরিশ্রম ও অদম্য উদ্ভাবনের মাধ্যমে যে কোনো বৈশ্বিক মঞ্চে নিজেদের প্রমাণ করতে সক্ষম।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন–নাসা বৈশ্বিকভাবে বিশ্বের ১৬৩টি দেশের প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী, ডিজাইনার, আর্টিস্ট, শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তার মতো মেধাবী তরুণদের একত্র করে বিশ্বের বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
তারই অংশ হিসেবে বেসিসের উদ্যোগে বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা) বাংলাদেশ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
এম.কে
২৫ নভেম্বর ২০২৪