টিভিথ্রি ডেস্ক: অধ্যাপক হুগো জেবার্গ ও ড. সিভানতে পাবো নামের দুই জন বিজ্ঞানী গবেষণা করে জানিয়েছেন, এ যুগে মানুষ সাধারণত যেসব রোগে আক্রান্ত হয়, তার কোনো কোনোটির মূল উৎস হচ্ছে নিয়ানডারথাল নামে প্রাচীন মানবপ্রজাতির জিন।
করোনায় আক্রান্তদের মৃত্যুর পেছনে কী কী কারণ থাকতে পারে তা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে তারা দেখেছেন, যাদের দেহে নিয়ানডারথাল জিন রয়েছে তারাই বেশি মারা যাচ্ছে এই রোগে।
নিয়ানডারথাল প্রজাতি পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হলেও তাদের জিন রয়ে গেছে আমাদের আধুনিক মানুষের দেহে।
গবেষকদের মতে, নিয়ানডারথালেনসিস প্রজাতির মানুষের উত্তরসূরিরা তুলনামূলকভাবে অন্যদের চেয়ে বেশি রোগে আক্রান্ত হয়। এই জিনের কারণে তাদের রোগের প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাই তারা বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়েছে, সাধারণত দক্ষিণ এশিয়ায় এই জিন বেশি রয়েছে। গড়ে এক-তৃতীয়াংশ মানুষই এই জিন বহন করে চলছেন।
বাংলাদেশিদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ নিয়ানডারথালদের জিনের বৈশিষ্ট্য প্রমাণিত হয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপে ৮ শতাংশ মানুষের মধ্যে এই জিনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে ।
এই জিনের কিছু উপকারী এবং কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। এটি কারো কারো ব্যথার প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়ায়, আবার অনেকের ক্ষেত্রে গর্ভপাতের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। আবার এই জিন করোনার ক্ষেত্রে তিনগুন বেশি মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
কিন্তু এই দিকটি লক্ষ রাখতে হবে যে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তার পরিবেশ, স্বাস্থ্য, জিনগত এবং আরও অনেক কারণে প্রভাবিত হয়।
৫ অক্টবর ২০২০
সানজানা ফারিহা
এনএইচ