13.7 C
London
October 4, 2025
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

নেত্রকোনার শতবর্ষের ‘বালিশ মিষ্টি’ পেল জিআই স্বীকৃতি

নেত্রকোনার শতবর্ষের ঐতিহ্যের ধারক ‘বালিশ মিষ্টি’ দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সম্প্রতি পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) এটিকে দেশের ৫৮তম জিআই পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

এই অনন্য মিষ্টির উৎপত্তি নেত্রকোনা শহরের বারহাট্টা রোড এলাকায় প্রায় ১২০ বছর আগে। স্থানীয় মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারক গয়ানাথ ঘোষ প্রথম এর উদ্ভাবন করেন। ছোট বালিশের মতো লম্বাটে ও তুলতুলে আকারের কারণে এর নাম হয় ‘বালিশ মিষ্টি’। সাধারণ সন্দেশ বা রসগোল্লা থেকে একেবারেই ভিন্ন এ মিষ্টি নেত্রকোনার সামাজিক অনুষ্ঠান, উৎসব ও উপহারের অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছে।

গয়ানাথ ঘোষের উত্তরসূরিরা এখনো এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। গয়ানাথ মিষ্টান্ন ভান্ডারের বর্তমান কর্ণধার ও নাতি বাবুল চন্দ্র মোদক বলেন, “বালিশ মিষ্টি জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় আমরা গর্বিত। দাদার হাতে যে মিষ্টির সূচনা হয়েছিল, তা আজ দেশের গৌরবের প্রতীকে পরিণত হলো।” তিনি আরও জানান, ১৯৬৫ সাল থেকে তার বাবা নিখিল চন্দ্র মোদক এবং বর্তমানে তৃতীয় প্রজন্মের তিন ভাই মিলে প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছেন।

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২০২৩ সালে ডিপিডিটিতে বালিশ মিষ্টির জিআই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করা হয়। পণ্যের ইতিহাস, উৎপাদন প্রক্রিয়া ও বিশেষ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে বিস্তৃত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হলে যাচাই-বাছাই শেষে সম্প্রতি এর স্বীকৃতি মেলে।

নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, “এর আগে বিজয়পুরের সাদামাটি জিআই সনদ পেয়েছিল। এবার বালিশ মিষ্টি যুক্ত হওয়ায় নেত্রকোনাবাসীর গর্ব আরও বেড়ে গেল। আমরা এটিকে জেলার ব্র্যান্ডিং হিসেবে তুলে ধরতে কাজ করব।”

এর আগে ২০২১ সালে নেত্রকোনার দুর্গাপুরের বিজয়পুরের সাদামাটি জিআই স্বীকৃতি পায়। ২০২৫ সালে এসে বালিশ মিষ্টির এই অর্জন জেলার জন্য আরেকটি ঐতিহাসিক গৌরব যোগ করল। শত বছরের পুরনো এই মিষ্টি আজ শুধু স্থানীয় স্বাদের সীমায় নয়, বরং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ঐতিহ্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছে।

সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া

এম.কে
০২ অক্টোবর ২০২৫

আরো পড়ুন

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ ও শেখ হাসিনা পরবর্তী পরিকল্পনা কী?

আর্জেন্টিনার পত্রিকায় বাংলাদেশের জয়ের খবর

বাজারে সিন্ডিকেটকারীরা প্রকৃত মুসলমান নয়ঃ আহমাদুল্লাহ