13.9 C
London
March 6, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

‘নৌকা থামাও’ স্লোগান ছিল ‘অতি কঠোর’, স্বীকার করলেন ঋষি সুনাক

সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, চ্যানেল পাড়ি দেওয়া বন্ধ করার প্রচেষ্টা সঠিক ছিল, তবে বার্তাটি সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি।

সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক স্বীকার করেছেন যে, তার প্রধানমন্ত্রীত্বকালে ব্যবহৃত “নৌকা থামাও” (Stop the Boats) স্লোগানটি “অতি কঠোর” ছিল।

তিনি বলেন, ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে অভিবাসীদের প্রবেশ বন্ধ করার প্রচেষ্টা সঠিক ছিল, তবে জনসাধারণের কাছে এই বার্তাটি পৌঁছানোর উপায় “একটু ভিন্ন হওয়া উচিত ছিল”।

বিবিসি রেডিও ৪-এর পডকাস্ট ‘Political Thinking with Nick Robinson’-এ সুনাক বলেন, “স্লোগানটি অতি কঠোর ছিল, অতি সরলীকৃত ছিল। আমি বিশ্বাস করি যে, আমি যেসব অগ্রাধিকার নির্ধারণ করেছিলাম, সেগুলো ঠিকই ছিল, তবে সম্ভবত এগুলোকে আরও ভালোভাবে উপস্থাপন করা যেত, যাতে মানুষ বুঝতে পারে এটি কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের উদারতা সীমাহীন, আমাদের সহানুভূতি সীমাহীন, কিন্তু আমাদের সম্পদ সীমাহীন নয়।”

তিনি যুক্তি দেন যে, “এভাবে নৌকায় করে অভিবাসী প্রবেশ করা মৌলিকভাবে অন্যায্য, এবং ন্যায্যতা আমাদের জাতীয় চরিত্রের মূল অংশ। যখন মানুষ এটি ঘটতে দেখে, তখন এটি আমাদের সমাজের ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয়।”

সুনাক অস্বীকার করেছেন, তিনি আগাম সাধারণ নির্বাচন ডাকার সিদ্ধান্ত হুট করে নিয়েছিলেন। বরং তিনি বলেন, তিনি তার নীতিগুলোর জন্য জনমত যাচাই করতে চেয়েছিলেন।

“আমি এটি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করেছি, এবং দীর্ঘদিন ধরে ভাবছিলাম যে, সঠিক পদক্ষেপ কী হতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “যখন আমি পেছনে ফিরে দেখি, আমি জানি কেন আমি এটি করেছিলাম। আমি বিষয়টি গভীরভাবে চিন্তা করেছিলাম, এবং আমি এখনো এমন কোনো যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা শুনিনি যে, তিন মাস পর পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে কীভাবে ভালো হতে পারত।”

তিনি উল্লেখ করেন যে, “রোয়ান্ডা স্কিম কার্যকর করা কঠিন ছিল এবং এটি বাস্তবায়নের জন্য জনমতের অনুমোদন প্রয়োজন ছিল।”

তিনি আরও বলেন, “একইভাবে, কর ও ব্যয়ের বিষয়টি নিয়েও আমাদের বিতর্ক ছিল। আমি কল্যাণ ব্যয় (welfare spending) বা অন্যান্য বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিলাম, এবং আমি মনে করি, এগুলো ম্যান্ডেট ছাড়া বাস্তবায়ন করা কঠিন হতো।”

তিনি বলেন, যদি তার উত্তরসূরি কেমি ব্যাডেনক (Kemi Badenoch) ইউরোপীয় মানবাধিকার কনভেনশন (ECHR) থেকে বেরিয়ে যেতে চান, তবে তিনি তাকে সমর্থন করবেন।

এছাড়া, সামরিক খাতে বাজেট বৃদ্ধির জন্য তিনি কল্যাণ ব্যয় কমানোর পক্ষেও ছিলেন।

তিনি বলেন, “আমি মনে করি, স্পষ্টতই এটি দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যাতে আমরা প্রতিরক্ষা খাতে যথাযথভাবে তহবিল দিতে পারি।”

২০২৪ সালের জুলাই মাসে সাধারণ নির্বাচনে পরাজয়ের পর ডাউনিং স্ট্রিট ছাড়ার বিষয়ে সুনাক বলেন, তিনি ভবিষ্যৎ নিয়ে “উত্তেজিত”।

তিনি বলেন, “আমি মাত্র ৪৪ বছর বয়সী, আমার সামনে অনেক সময় রয়েছে। আমি চাই না যে, প্রধানমন্ত্রী হওয়াটাই কেবল আমার পেশাগত পরিচয়ের একমাত্র অংশ হয়ে থাকুক। আমার দেওয়ার মতো আরও অনেক কিছু রয়েছে।”

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
০৫ মার্চ ২০২৫

আরো পড়ুন

ব্রিটেনের কাউন্সিলগুলো গৃহহীন কিশোর-কিশোরীদের দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হচ্ছে

যুক্তরাজ্যে অতিরিক্ত ঠান্ডা ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার কারণে মৃত্যু বাড়ছে

স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে যুক্তরাজ্য

নিউজ ডেস্ক