রাজধানী ঢাকায় লকডাউন চলাকালে পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়ার জের ধরে এক নারী চিকিৎসক পুলিশ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে দেখা যায়।
রোববার (১৮ এপ্রিল) ওই নারীর আচরণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
৫ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারী পুলিশকে বলেছেন, ‘করোনায় জীবন গেছে কয়জন ডাক্তারের, আর আপনারা কতজন মরছেন। আমার কাছে আবার চান মুভমেন্ট পাস।’
এরপরই পাল্টে যায় পরিস্থিতি। পুলিশের এক সদস্য ওই নারীকে বলেন, ‘আপনি আমাদের ধমক দিচ্ছেন কেনো?’ জবাবে নারী বলেন, ‘আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার শওকত আলীর মেয়ে।’ পুলিশও বলে, ‘আমিও মুক্তিযোদ্ধার ছেলে। আপনি আমাকে শোনাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধার কথা।’
এসময় নিজেকে চিকিৎসক দাবি করা নারী পুলিশকে বলেন, ‘ডাক্তার হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ‘আমি বিএসএমএমইউ প্রফেসর, বীর বিক্রমের মেয়ে। আমাকে আপনারা হয়রানি করতে পারেন না।’ পরে পুলিশের আরেক সদস্য বলেন, ‘আপা আপনাকে তো হয়রানি করা হচ্ছে না। আপনার কাছে পরিচয়পত্র চাওয়া হচ্ছে।’ এর পরে নিজ গাড়িতে ওঠে যান ওই নারী চিকিৎসক।
তখন পুলিশের এক সদস্য ওই নারীকে বারবার বলেন, ‘আপনি আমাকে তুই তুই করে বলছেন কেন?’ এক পর্যায়ে পুলিশকে তিনি হয়রানি করলে আন্দোলনের হুমকি দেন। পুলিশ জবাবে বলছে, ‘আমাদের আন্দোলনের ভয় দেখাচ্ছেন।’
‘আর আমি কে, সেটা এখন তোদের দেখাচ্ছি হারামজাদা।’ এরপরই এক ‘মন্ত্রীকে’ ফোন করেন তিনি। ফোনে তাকে হয়রানি করার কথা বলেই পুলিশ সদস্যের হাতে তার ফোন তুলে দেন কথা বলার জন্য। তারপরও পুলিশকে পরিচয়পত্র দেখাননি তিনি।
১৮ এপ্রিল ২০২১
এনএইচ