পর্তুগালে ‘বিশ্রামের অধিকার’ নামে পরিচিতি পাওয়া নতুন একটি আইনের অংশ হিসেবে ওয়ার্কিং আওয়ারের বাইরে কর্মীদের টেক্স মেসেজ বা ই-মেইল পাঠাতে পারবেন না নিয়োগকর্তারা। ওয়ার্কিং ফ্রম হোম বা বাড়িতে থেকে কাজ করার ক্ষেত্রে জীবন ও কাজের মধ্যে ভারসাম্য আনতে এই পরিবর্তনগুলো আনা হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ আইন অনুযায়ী কর্মী সংখ্যা দশের বেশি হলে চাকরির চুক্তি অনুযায়ী সময়ের বাইরে কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জরিমানা হতে পারে প্রতিষ্ঠানটির। আর দূরবর্তী কর্মীরা কাজের সময় শিশু সন্তানদেরকে সঙ্গে রাখতে পারবেন।
বলা হয়, সন্তানের ৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগকর্তার কাছ থেকে পূর্বানুমতি না নিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়িতে কাজ করার অনুমোতি দেওয়া হবে অভিভাবকদের।
এছাড়াও বাড়িতে কাজ করার জন্য ইন্টারনেট বিল, বিদ্যুৎ বিলের মতো গৃহস্থালির খরচ দিতে হবে নিয়োগকর্তাদের। এমনকি দূরবর্তী কর্মীদের একাকিত্ব দূর করতে প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত মুখোমুখি মিটিং আয়োজন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যদিও এই বিলের কয়েকটি বিষয় অনুমোদন করেননি পর্তুগালের আদালত। যেমন, অফিস আওয়ারের বাইরে সমস্ত ডিভাইস বন্ধ ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার অধিকার দেওয়া হয়নি কর্মীদের।
পর্তুগালের শ্রম ও সামাজিক নিরাপত্তা মন্ত্রী আনা মেন্ডেস গোডিনহো গত সপ্তাহে লিসবনে একটি সম্মেলনে বলেন, টেলিওয়ার্ক একটি গেম-চেঞ্জার হতে পারে, তবে এর প্রসার নিয়ন্ত্রণ দরকার।
তিনি মনে করেন, বর্ধিত শ্রম সুরক্ষা দেশের শ্রমবাজারে আরও বিদেশিদের আকৃষ্ট করবে।
তিনি বলেন, এই ডিজিটাল যুগে দূরবর্তী এবং প্রত্যন্ত এলাকার কর্মীদের জন্য পর্তুগালকে বিশ্বের সেরা জায়গাগুলোর একটি হিসেবে ধরা হচ্ছে।
১৩ নভেম্বর ২০২১
এনএইচ